পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 3 রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা যখন পূর্বের উপলব্ধ বিষয় বৰ্ত্তমানে আনয়ন করে, অর্থাৎ স্মরণ করে, তখন তাহার নাম হয় চিত্ত। আবার পঞ্চভূতের সমবেত সাৰিক অংশ হইতে যেমন আন্তঃকরণের সৃষ্টি হইল, তেমনই ইহাদের সমবেত রাজসিক অংশ হইতে প্ৰাণের সৃষ্টি হইল। এই প্ৰাণই আবার কাৰ্য্যের প্ৰকারভেদে পাচটি বিভিন্ন নামে আখ্যাত হয়, যথা—প্ৰাণ, অপান, সমান, ব্যান ও উদান । ঈশ্বরের সৃষ্টিক্রিয়া এইখানেই শেষ হইল না। তিনি আবার পূর্ব কথিত পাৰ্চিটি ভুত লইয়া একটা নূতন প্ৰণালীতে উহাদিগকে মিশাইম্বা নূতন ধরণের আর পাঁচটা জিনিস গড়িয়া তুলিলেন। সেই পাচটির ও নাম হইল পঞ্চভুত। কিন্তু আদিম পঞ্চভুত হ’তে এই নূতন পঞ্চভূতের পার্থক্য রক্ষা করা আবশ্যক। তাই আদিম ভূতপঞ্চকের নাম সূক্ষ্ম পঞ্চভূত, আর নূতন ভূতপঞ্চকের নাম স্কুল পঞ্চভুত। সূক্ষ্ম ভূতগুলিকে যে প্ৰণালীতে মিশাইয়া স্থূল ভূতপঞ্চ গঠিত হইল, বৈদান্তিকের ভাষায় উহার নাম পঞ্চীকরণ । ইহার বিশেষত্ব মিশ্রণের অনুপাত লইয়া । স্থল ক্ষিতিতে সুন্ম ভূত্ব গুলি নিম্নলিখিত অনুপাতে বৰ্ত্তমান,যথা –ক্ষিতি ৪,অপ, ১, তেজঃ ১, মরুং ১ এবং ব্যোম ১। তেমনই স্কুল অপেক্ষা সুন্ম অপের অংশ ৪ এবং অবশিষ্ট সুন্ম ভূতচতুষ্টয়ের মাত্রা ১ করিয়া। স্কুল তেজঃ, মরুৎ ও ব্যোমের অংশেরও ঠিক এই নিয়ম। এই স্কুলভুত বা পঞ্জীকৃত ভূত হইতেই ভোগ্য বস্তু অন্নাদি এবং ভোগায়তন দেহের উৎপত্তি, স্থাবর জঙ্গমাত্মক সসাগরা ধরার উৎপত্তি, চতুর্দশ ভুবনের উৎপত্তি, সংক্ষেপত: এই বিশ্বপ্ৰগঞ্চ বা Material universe a verof3 প্ৰকৃতির প্রহেলিকাময় বংশাবলীর মধ্যে আমরা দুই স্থলে পঞ্চভূতের সাক্ষাৎ লাভ করিলাম। প্রথম দেখা পাইলাম, সুন্ম ভূতপঞ্চাকের, ইহার মূল উপাদান প্রকৃতির তমো প্ৰধান অংশ, আবার প্রকৃতি ব্ৰহ্মেরই শক্তিবিশেষ, সুতরাং সূক্ষ্মভুত ব্ৰহ্মশক্তিরই স্কুল বা অপকৃষ্ট অংশ, স্কুল ও সুহ্ম শব্দ সাধারণতঃ বহিরিান্দ্ৰিয়গ্ৰাহ পদার্থের বেলাতেই প্ৰযুক্ত হইয়া থাকে বটে, কিন্তু ভাবাত্মক জগতে ও উহাদের ব্যবহার না আছে, এরূপ নহে । আমরা অহরহ : বলিয়া থাকি অমুকের বুদ্ধি স্কুল ও ‘অমুকের বুদ্ধি সূক্ষ্ম। ব্ৰহ্মশক্তির বেলাই স্কুল শব্দ শেষোক্ত প্রকারের অর্থেই প্ৰথম ব্যবহৃত। তারপর আমরা দেখিয়াছি, ব্ৰহ্মশক্তির যেমন সুক্ষ্মভুতের জন্ম, তেমনই আবার সুক্ষ্মভুত পঞ্চক হইতে পঞ্চজ্ঞানেন্দ্ৰিয়, পঞ্চ কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়, পঞ্চ প্রাণ ও অন্তঃকরণের জন্ম। আমরা পুৰ্ব্বেই দেখিয়াছি, জ্ঞানেন্দ্ৰিয় ও কৰ্ম্মেন্দ্রিয় Matter নহে,আর শক্তি Energy সুতরাং Matt"r নহে, অতএব সূক্ষ্মীভূতপঞ্চক হইতে সাক্ষাৎ সম্বন্ধে যেমন বস্তুর স্থষ্টি হইয়াছে,ইহাদের কোনটিই Matter নহে। উহাদের একেতেই সংজ্ঞা ভাগবত মানসিক । পক্ষাস্থরে স্কুলপঞ্চভুত হইতে DD BBD KKSDDDB BBDSgB BB DDBDDDD DBBE LLLLSSS DDDDBBB BBB BBBBD KKD DDD DDD S অতএব আমরা বলিতে পারি, সমগ্ৰ মানসিক জগৎ বা অন্তর্জগৎ সূক্ষ্ম পঞ্চভূতোদ্ভুত, আর সমগ্ৰ জগৎ বা বহিজগৎ স্কুলভুতপঞ্চক হইতে উৎপন্ন। এইস্থলে আমরা জড় শব্দটি ইংরেজী Material এর সমর্থক ভাবে ব্যবহার করিতেছি। নতুবা হিন্দুদর্শন শাস্ত্রের ভাষায় বিশুদ্ধ ব্ৰহ্ম চৈতন্য ভিন্ন সমুদয়ই জড়। কাজেই তদনুসারে বহির্জগৎ ও মানসজগৎ উভয়ের প্রতিই জড় আখ্যা