পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/৩২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& b' অষ্টম বর্ষের কাৰ্য্য-বিবরণ ৩। বিগত মঠ মাসিক অধিবেশনের কার্য্য-বিবরণ-সম্পাদক মহাশয় কর্তৃক পঠিত ও সর্বসম্মতিতে গৃহীত হওয়ার পরে সভাপতি মহাশয় কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইল। ৪ । এই অধিবেশনে কোনও গ্ৰন্থ উপহৃত হয় নাই । ৫ । নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ যথারীতি সভার সদস্য নির্বাচিত হইলেন नंगा नभा (প্ৰস্তাবক l সমর্থক (১) শ্ৰীযুক্ত মহাম্মদ আলি চৌধুরী সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত ভুজেন্দ্ৰনাথ মুখোপাধ্যায় বি, এ, ডেপুটী ম্যাজিষ্টেট, রঙ্গপুর (২) শ্ৰীযুক্ত অবিনাশচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্তী শ্ৰীকালীপদ বাগছী শ্ৰীঅন্নদাচরণ বিদ্যালঙ্কার এম, এ, বি, এল, উকিল হাইকোর্ট ২৮৩ অখিল মিত্রের লেন কলিকাতা । ৬। শ্ৰীযুক্ত রায় মৃত্যুঞ্জয় রায়চৌধুরী বাহাদুর এম, আর, এ, এস মহোদয়ের উপহৃত সুবৃহৎ প্রাচীন ভগ্ন নালি কাস্ত্রের শীর্যাংশ সভার চিত্রশালায়। ধন্যবাদ পুরঃসর গৃহীত হইয়া সদস্যগণকে প্ৰদশিত হইল । ৭। শ্ৰীমুক্ত সম্পাদক মহাশয় গিরিডির সুযোগ্য সব ডেপুটী কালেক্টর শ্ৰীযুক্ত বিরজাকান্ত ঘোষ বি, এ মহাশয়ের রচিত “পদ্মাপুরাণ ও দ্বিজ বংশীদাস” শীৰ্ষক প্ৰবন্ধ পাঠ করিলেন । এই প্ৰবন্ধ পত্রিকার পরবর্তী সংখ্যায় মুদ্রিত হইবে বলিয়া এস্থলে তাহার সার উদ্ধৃত হইল না। পঠিত প্ৰবন্ধ সম্বন্ধে সভাপতি মহাশয় কর্তৃক মতামত আহুত হইলে শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত হৃদয়নাথ তর্করত্ন তর্ক কণ্ঠ মহাশয় বলিলেন যে, কেতকাদাসের, ক্ষেমানন্দের ও নারায়ণদেবের পদ্মাপুরাণ প্রথমে রচিত হয়, তৎপরে দ্বিজ বংশীদাসের পদ্মাপরাণ । দেশ যখন জঙ্গলময় ছিল তৎকালে শ্বাপদভীতি-নিবারণ জন্য ব্যান্ত্রদেবতা ও সপোর দেবীর পূজার প্রচার স্বাভাবিক। এই কারণে সৰ্পের দেবী পদ্মা ও ব্যাঘের দেবতা সোনারায়ের অস্তিত্ব আমরা দেখিতে পাই । এতদ্ব্যতীত ইহার অপর কোন ও ঐতিহাসিক ভিত্তি নাহি বলিয়াই নানাস্থানে চাদ সদাগরের বাটী নির্দিষ্ট হয়। বাক্ষ্যমাণ পদ্মাপুরাণের কল্পনাতে যথেষ্ট ভ্রান্তির পরিচয় পাওয়া যায়। কাব্যাকারের পক্ষে তাহাকে মানবীরূপে বৰ্ণনা করিয়া আবার স্বৰ্গে লইয়া গিয়া দেবত্ব অৰ্পণ সমীচীন হয় নাই। প্ৰবন্ধ লেখকের উক্তি হইতে বুঝা যায় যে, গ্ৰন্থকারের বাসস্থান ময়মনসিংহের অন্তৰ্গত কোন স্থানে ছিল। এই বিষয়ে তাহার সহিত আমি একমত। পদ্মার উপরে অভিসম্পাত ছিল যে, চাঁদসওদাগরের দ্বারা পুজা না १श्gठा ऊँiश्त পূজা মৰ্ত্ত্যে প্রচার হইবে না। গ্ৰন্থালোচনা-প্রসঙ্গে প্ৰবন্ধলেখক ইহার উল্লেখ করেন নাই। চাদের পূজা গ্রহণে পদ্মার এত আগ্রহ কেন তাহার কারণ নিৰ্ণয় করা উচিত ছিল । তাৎকালিক সামাজিক ইতিহাস সম্বন্ধে বাণিত হইয়াছে ইহাতে নূতনত্ব কিছু নাই। শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্রলাল সেন গুপ্ত মহাশয় বলিলেন, জগতে গৌরবময় জিনিস সকলেই নিজস্ব করিতে চায় ইহা স্বাভাবিক। কাব্যে রূপকের বর্ণনা বিচিত্র নহে। বঙ্গদেশ কোন সময়ে অরণ্যময় ছিল তাহা জানি না। ঋগ্বেদেও বঙ্গের নাম ধ্বনিত হইয়াছিল। বঙ্গ হইতে অতি