পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গপুর সাহিত্য-পরিষদের GS পুরাকালে বিজয়সিংহ সিংহল জয় করিয়াছিলেন সুতরাং বঙ্গের সভ্যতা আদি সভ্যতা বলিতে সঙ্কোচ নাই। সমালোচক বঙ্গের প্রাচীন সভ্যতা বোধহয় স্বীকার করেন না ! বিষহরি পদ্মাপুরাণের রচনাকালে বঙ্গ নিশ্চয়ই সভ্যতালোকে উদ্ভাসিত ছিল । শ্ৰীযুক্ত পণ্ডিত হৃদয়নাথ তর্করত্ন তর্ক কণ্ঠ মহাশয় বলিলেন যে, ঐ পুরাণোক্ত চাদ সদাগর প্রভৃতি ঐতিহাসিক ব্যক্তি নহেন ইহাই আমার বলার অভিপ্ৰায় । শ্ৰীযুক্ত কালীকান্ত বিশ্বাস মহাশয় বলিলেন-ঘনরাম বলিয়াছেন “ধুবড়ী ছাড়িয়া যায় নেতা ধুবনীর পাট ।” মুকুন্দরাম ও র্তাহার গ্রন্থে এরূপ সতীত্বের বর্ণনা করিয়াছেন। DBDBB BDD KBDDBB BDDBBD KKK BDBBDDBBSDDB gLSDD DuBBDBDB BBDDD DDDuDDS DDD যায় না। লৌকিক ধৰ্ম্মশিক্ষার জন্য পদ্মাপুরাণ রূপকমাত্র নষ্ঠে, ইহার মূলে কিছু ঐতিহাসিক সত্যও নিহিত আছে । শ্ৰীযুক্ত ভুজেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মহাশয় বলিলেন যে, বেহুলার উপন্যাস লইয়া নানা স্থানে নানারূপ আলোচনা হইতেছে। পদ্মার পূজা সৰ্ব্ববঙ্গে সাধারণে যেরূপ প্রচারিত, সত্যনারায়ণের পূজাও সেইরূপ প্রচলিত। সত্যনারায়ণ ও বেহুলার মূল উপাখ্যান একরকম। ইহাকে ধৰ্ম্ম-সামঞ্জস্যের পরিচয় মাত্র বলিয়া মনে হয় । কোন কালে বাঙ্গালা অনাৰ্য্যভূমি ছিল, পরে আর্য্যগণ আগমন করেন। সর্পপূজা অনাৰ্য্যদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। আৰ্য্যগণ আসিলে তঁহাদের পুজার সহিত সর্পপূজার সংমিশ্রণে পদ্মাপুরাণের জন্ম। চাঁদ সদাগরের বাসস্থান নির্দেশ লইয়া ও নানারূপ তর্ক উপস্থিত । প্রকৃতপক্ষে পদ্মাপুরাণের বর্ণিত বিষয় এত সুন্দর যে সকলেই তাহাকে নিজ নিজ আলিয়ের নিকটবৰ্ত্তী ঘটনা বলিয়া, আপনার कि লাইতে চায়। ইহা অস্বাভাবিক নহে। সভাপতি মহাশয় বলিলেন, পণ্ডিত মহাশয় পদ্মাপুরাণের ঐতিহাসিকত্ব সম্বন্ধে যাহা ঘলিয়াছেন তৎবিষয়ে আমার বক্তব্য এই যে, সৰ্ব্ববঙ্গ ও বিহার পর্য্যন্ত যে পদ্মাপুরাণের কথা চলিত আছে তাহা এক বারে ভিত্তিহীন নহে। খাসিয়াদের মধ্যে এখন ও সর্পপূজা প্ৰচলিত আছে। বৈদিক ধৰ্ম্মে সর্পপূজা ছিল না। ঐ সকল অনাৰ্য্যজাতির মধ্য হইতে হিন্দুধৰ্ম্মে সৰ্পপূজা আসিয়াছে। পদ্মাপুরাণ সেই ধৰ্ম্ম-গ্রহণের আখ্যায়িক। মাত্র। সম্ভবতঃ চাঁদসওদাগরের পুত্র পদ্মার দোহাই দিয়া কোন প্রকারে সর্পাঘাত হইতে বাচিয়া যান এবং সেই হইতে পদ্মাপুজার প্রচলন আৰ্য্যগণের মধ্যে সংক্রমিত হয়। আমাদের পুরাতন সাহিত্য হইতে যে সকল প্ৰাচীন সামাজিক রীতিনীতির বিষয় অবগত হওয়া যায় তাহা হইতে শিখিবার অনেক বিষয় আছে। শ্ৰীযুক্ত বিরজাকান্ত ঘোষ মহাশয় ইহার অবতারণা করিয়া আমাদের অশেষ ধন্যবাদের পাত্ৰ হইয়াছেন । . অতঃপর সভাপতি মহাশয়ের আদেশে শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্ৰলাল সেন গুপ্ত মহাশয় তাহার স্বরচিত সাহিত্যানুরক্ত রাজা বিনয়কৃষ্ণ দেব বাহাদুরের মৃত্যু উপলক্ষে লিখিত একটি পছন্ত পাঠ

  • করিলেন।