পাতা:রকম রকম - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
দারোগার দপ্তর, ৮২ম সংখ্যা।

যে মূল্য বলিয়াছে, সেই মুল্য বারে বারে উচ্চারণ করিয়া উহার মূল্য-বৃদ্ধি করিবার চেষ্টা করিতেছে। অর্থাৎ একজন কহিল, “এক টাকা” যে ব্যক্তি সেই দ্রব্য বিক্রয় করিতে বসিয়াছে, সে উহার দাম “এক টাকা এক টাকা” বলিয়া, যে পর্য্যন্ত অপর কোন বাক্তি উহার অধিক দাম না বলিল, সেই পর্য্যন্ত অনবরত সেইরূপেই চীৎকার করিতে লাগিল। অপর কোন ব্যক্তি যেমন তাহার দাম কিছু বাড়াইয়া বলিল, বিক্রেতার সুরও সেইরূপ পরিবর্ত্তিত হইল। এইরূপে যাহার দরের উপর অপর আর কেহ অধিক দাম প্রদান করিতে স্বীকৃত না হয়, সেই দ্রব্য তখন সেই বাক্তি তাহার কথিত মূল্যেই পাইয়া থাকে। ইহাই নিলামের পদ্ধতি! কিন্ত এ নিলাম সেই প্রকারের হইলেও, ইহার উদ্দেশ্য স্বতন্ত্র! এই স্থানে প্রকৃত ক্রেতা একজনও নাই, ক্রেতারূপে যে সকল ব্যক্তি দোকানের ভিতর দাঁড়াইয়া বিক্রেয় দ্রবোর দাম বর্দ্ধিত করিবার চেষ্টা করিতেছে, তাহারা সকলেই একদল-ভুক্ত-জুয়াচোর, কেহবা জুয়াচোরের চাকর। উহারা যেমন দেখিল, একজন পল্লীগ্রাম-নিবাসী নিরীহ লোক সেই দোকানের সম্মুখ দিয়া গমন করিতেছে, অমনি তাহারা চীৎকারস্বরে নিলাম আরম্ভ করিয়া দিল। সেই আগন্তক ব্যক্তি নিলামের প্রলোভনে ভুলিয়া যেমন দোকানের ভিতর প্রবেশ করিল, অমনি দেখিতে পাইল, একটা লোক প্রয়োজনীর দ্রব্য—যাহার দাম পাঁচ টাকার কম নহে, তাহা পাঁচ পয়সায় বিক্রয় করিতে বসিয়াছে। এক ব্যক্তি ডাকিল, ছয় পয়সা, অপরে কহিল, “নয় পয়সা” আগন্তক ডাকিল, “দশ পয়সা।” তাহার পর হয় ত আর কেহই ডাকিল না, যদি ডাকিল, কেবল উহার দাম আর এক পয়সা বাড়াইয়া দিল। সেই ব্যক্তি যেমন