পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্রা বিশু সংখ্যারূপে ওদের হিসাবের খাতায় আমরা জায়গা পাই, কিন্তু সংখ্যার অঙ্কের সঙ্গে নারীর অঙ্ক গণিতশাস্ত্রের যোগে মেলে না । চন্দ্রা ওমা ! ওদের নিজের ঘরে কি স্ত্রী নেই ? তারা কী বলে ? বিশু যায়। আমরা তাদের চোখেই পড়ি নে । চন্দ্রা বিশুবেয়াই, তোমার ঘরে তো স্ত্রী ছিল, তার হল কী ? অনেক দিন খবর পাই নি । বিশু যত দিন চরের উচ্চপদে ভর্তি ছিলুম, সর্দারনীদের কোঠাবাড়িতে তার তাস খেলার ডাক পড়ত। যখন ফাগুলালদের দলে কেন । পঙক্তি ৫৮১-৫৯০ > কেন ? আমরা যে মানুষ নই, কেবল সংখ্যা, স্ত্রীরা থাকলে সেই হিসাবটা একটু ঘুলিয়ে যায়। আমরা আমাদের স্ত্রীর স্বামী আবার আমরা হ য ব র ল পাড়ার ১৪৫ থেকে ৫৭৭, এ দুটো কথার সুর ঠিক মেলে না। ওমা, তাই বলে স্ত্রীগুলোকে একেবারে বাদ দিয়ে ফেলবে ? কেন, ওদের নিজের ঘরে স্ত্রী নেই– তারা মেয়ে মানুষ নয় ? বেয়ান, তারাও যে সোনার তালের মদ খেয়েচে-- তারা কি তোমাদের দেখতে পায়, না আমাদের ? নেশায় তারা তাদের স্বামীসে ছাড়িয়ে গেছে : স্বামীরা যদি বা আমাদের এক দুই কিম্বা শিকি বা আধখানা বলেও গণ্য করে, তাদের সোহাগের স্ত্রীরা আমাদের একেবারেই শূন্য দেখে । দেখ চন্দ্রা, অনেকক্ষণ সহ্য করেচি আর সইবে না, আমার মদ কোথায় লুকিয়েচ, বের কর । সংখ্যা হয়ে থাকার চেয়ে পশু হওয়া ভাল, এই মনে রেখে একটু দয়া কোরো। তোমার স্ত্রী নেই বুঝি, বিশু বেহাই ? একদিন ছিল। যতদিন চরের কাজে ভৰ্ত্তি ছিলুম ততদিন সর্দারনিদের কোঠাবাড়িতে তার তাস খেলার ডাক পড়ত। যখন বিশুদের ফিাগুলালদের] দলে ©br☾ ○ s)○