পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দিনী আমি জালের বাধা মানি নে, আমি এসেছি ঘরের মধ্যে ঢুকতে । অধ্যাপক জান নন্দিনী ?— আমিও আছি একটা জালের পিছনে । মানুষের অনেকখানি বাদ গিয়ে পণ্ডিতটুকু জেগে আছে। আমাদের রাজা যেমন ভয়ংকর, আমিও তেমনি ভয়ংকর পণ্ডিত । নন্দিনী আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছ তুমি । তোমাকে তো ভয়ংকর ঠেকে না। একটা কথা জিজ্ঞাসা করি, এরা আমাকে এখানে নিয়ে এল, রঞ্জনকে সঙ্গে আনলে না কেন ? অধ্যাপক সব জিনিসকে টুকরো করে আনাই এদের পদ্ধতি। কিন্তু, তাও বলি, এখানকার মরা ধনের মাঝখানে তোমার প্রাণের ধনকে কেন পঙক্তি ৮১-৯০ Ψ) নন্দিনী মি তাকে ঘরে গিয়ে দেখবই। অধ্যাপক চেষ্টা কর। পারবে না। তার ঘরের মধ্যে মানুষ ঢুকতে সুর করলেই সব আলগা হয়ে যাবে যে। আমি তাহলে আমার পুঁথির ঘরে চললুম। नन्निनी শোনো, শোনো, একটা কথা আমাকে বলে’ যাও— আমার রঞ্জনকে কি ওরা এখানে আসতে দেবে না ? অধ্যাপক সে কথা সর্দারকে জিজ্ঞাসা কোরো। কিন্তু আমার পরামর্শ শোনো, এই যক্ষপুরীতে তোমার রঞ্জনকে আনতে চেয়ো না— আমাদের এই মরা ধনের মাঝখানে তোমার সেই প্রাণের ধনকে— Gr নন্দিনী । আমি ঘরে তার যাবই। অধ্যাপক জান, নন্দিনী, আমারও একটা জালের জানলা আছে, তার ভিতর দিয়ে ছাকা পড়ে গেছি। সে আমার পাণ্ডিত্যের জাল। আমাতেও মানুষের অনেকটা ૨ >a br☾