পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR অনেকখানি বাদ গিয়ে কেবল পণ্ডিতটি দেখা যায়। আমাদের রাজা যেমন সেই মস্ত লোকসানের কথা মনে পড়ে। মানুষ হয়ে জন্মেছিলুম পণ্ডিত হয়ে মরচি । नन्मिनी আমার সঙ্গে ঠাট্টা করচ তুমি । তোমাকে ত ভয়ঙ্কর ঠেকে না। অধ্যাপক তোমার কালো চোখের চাহনিমস্ত্রে আমার ভাঙা মানুষ জোড়া লাগে । বেশ বুঝচি, আমাদের রাজাকেও একদিন জালের বাইরে টেনে আনবে। নন্দিনী একটা কথা জিজ্ঞাসা করি। এখানে আমাকে এরা নিয়ে এল কিন্তু আমার রঞ্জনকে কি আসতে দেবে না ? সে না থাকলে আমার থাকার ত কোনো মানে নেই। অধ্যাপক কাজ কি ! আমাদের সব মরা ধনের মাঝখানে তোমার প্রাণের ধনকে কেন আনতে চাও ? হামানদিস্তের মধ্যে তোমার খোপার ঐ রক্তকরবীকে খসতে দেবে ? ఫ్ নন্দিনী আমি জালের বাধা মানিনে, আমি এসেচি ঘরের মধ্যে ঢুকতে [ ] অধ্যাপক জান নন্দিনী, আমিও আছি একটা জালের পিছনে। মানুষের অনেকখানি বাদ গিয়ে পণ্ডিতটুকু জেগে আছে। আমাদের রাজা যেমন ভয়ঙ্কর রাজা, আমিও তেমনি ভয়ঙ্কর পণ্ডিত । নন্দিনী আমার সঙ্গে ঠাট্টা করচ তুমি । তোমাকে ত ভয়ঙ্কর ঠেকে না। অধ্যাপক তোমার চাহনি-মন্ত্রে ভাঙ্গনের ভিতর থেকে পুরো মানুষ যে বেরিয়ে আসে । বেশ বুঝচি, আমাদের রাজাকেও একদিন জালের বাইরে টেনে আনবে। নন্দিনী একটা কথা জিজ্ঞাসা করি । এখানে আমাকে এরা নিয়ে এল, আমার রঞ্জনকে সঙ্গে আনলে না কেন ? অধ্যাপক সব জিনিষকে টুকরো করে আনাই এদের পদ্ধতি। কিন্তু তাও বলি, এখানকার মরা ধনের মাঝখানে তোমার প্রাণের ধনকে কেন O নন্দিনী আমি জালের বাধা মানিনে, আমি এসেচি ঘরের মধ্যে ঢুকতে ।