পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সর্দার কিছু ভাবতে হবে না। চলো, আমি নিজে যাচ্ছি। সকলের প্রস্থান অধ্যাপক ও পুরাণবাগীশের প্রবেশ পুরাণবাগীশ ভিতরে এ কী প্রলয়কাণ্ড হচ্ছে বলো তো— ভয়ংকর শব্দ যে | অধ্যাপক রাজা বোধ হয় নিজের উপর নিজে রেগেছে। তাই নিজের তৈরি একটা-কিছু চুরমার করে দিচ্ছে। । পুরাণবাগীশ মনে হচ্ছে, বড়ো বড়ো থাম হুড়মুড় করে পড়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক আমাদের ঐ পাহাড়তলা জুড়ে একটা সরোবর ছিল, শঙ্খিনীনদীর জল এসে তাতে জমা হত। একদিন তার বা দিকের পাথরের স্তৃপটা কাত হয়ে পড়ল, জমা জল পাগলের অট্টহাসির মতো খল খল করে বেরিয়ে চলে গেল। কিছুদিন থেকে রাজাকে দেখে মনে হচ্ছে, ওর সন্টয়-সরোবরের পাথরটাতে চাড় লেগেছে, তলাটা ভিতরে ভিতরে পঙক্তি ১০১১-১০২০ २ পুরাণবাগীশ বাসরে, ভিতরে কি প্রলয় কাণ্ড হচ্চে ! ভয়ঙ্কর শব্দ যে ! অধ্যাপক রাজা বোধহয় নিজের উপর নিজে রেগে গিয়েছে— তাই নিজের তৈরি একটা কিছু ভেঙে চুরমার করে দিচ্চে। পুরাণবাগীশ মনে হচ্চে যেন একটা বাড়ির বড় বড় দেয়াল কুড়মুড় করে পড়ে যাচ্চে। অধ্যাপক অসম্ভব নেই। কেবল দুই হাতের ধাক্কা দিয়ে ভাঙতে পারে। নিজের শক্তিকে প্রমাণ করবার জন্যে মাঝে মাঝে ওর মাথায় ভাঙনের পাগলামি চাপে । পুরাণ সেই পাগলামি সম্প্রতি ওকে ধরেচে না কি ?

  • অধ্যাপক কি জানি, আমার কেমন মনে হচ্চে অনেক দিন কেবলি সংগ্রহ কৰ্ত্তে কৰ্ত্তে কিছুদিন থেকে সংগ্রহ-নেশার উল্টো ধাক্কা ওকে লেগেচে। বেশ বুঝতে

৩O৩ >O>(2 >のミの