পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ミさ o অধ্যাপক জানার টানের চেয়ে প্রাণের টান বেশি হলেই পাঠশালা পালাবার ঝোঁক সামলানো যায় না। পুরাণবাগীশ তোমাদের মনিবের নাম কি, বললে না ত । অধ্যাপক ও বলে ওর নামকরণ এখনো শেষ হয়নি। একদিন জগতের লোকের কাছে নাম অর্জন করে নেবে। পুরাণবাগীশ তা যেন হল ? বয়েস ? অধ্যাপক ও বলে, যে মানুষ প্রথম বলেছিল পৃথিবী জয় শেষ হলে জয় করবার জন্যে নতুন পৃথিবী খুঁজতে বেরব তার সঙ্গে ওর বয়স এক । পুরাণ লোকটা ত পুরাণ কিছু কিছু জানে দেখচি। অধ্যাপক আমাকে বলে, তুমি আমার চেয়ে অনেক বুড়ো ; যে নিরস্ত্র মানুষ গুহা খুঁজে প্রথম তার মধ্যে লুকিয়ে বেঁচেছিল তুমি তারি সমবয়সী। 疆 পুরাণবাগীশ বুঝেছি, পুরাণ যুগের মানুষকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করেচে। অধ্যাপক হা, এক, যারা ঘেরের মধ্যে সবার কাছ থেকে লুকিয়ে বঁচে, আর যারা ঘের ডিঙিয়ে সবাইকে তাড়িয়ে মারে। পুরাণবাগীশ উছু ! শ্রেণীবিভাগ ত পুঁথির সঙ্গে মিলল না, দাদা । অধ্যাপক পুঁথি মানবার মানুষ ও নয়। পাঠশালায় পড়বার সময় গুরুর আসন হঠাৎ উল্টিয়ে কাৎ করাই ওর প্রধান তামাসা ছিল। আজো সে খেলা ভুলতে পারেনি । পুরাণবাগীশ মানুষটিকে তোমরা ত যা হয় একটা নাম দিয়েচ ? অধ্যাপক দিয়েটি। রোসো, কেউ শুনচে কিনা। এখানে চারদিকেই চর। ওকে আমরা बलि भङ्लङ्ग । পুরাণবাগীশ কেন বল ত ? অধ্যাপক মকরের মতই ওর চোখের উপর পর্দা নেই। একটা চষমা আছে।