পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○○ - . . নন্দিনী ঐ যে ফসল কাটার গান, বাইরের মাঠ থেকে সুর আসচে। অধ্যাপক কথা ভালো বুঝতে পারচিনে। নন্দিনী আমার চেনা গান। ঐ ত গাচ্চে : মাঠ আমাদের মিতা, ওরে আজ তারি সওগাতে ঘরের আঙিন সারা বছর ভরবে দিনে রাতে । তাই যে কাটি ধান, তাই যে গাহি গান, * তাই যে সুখে খাটি ৷ আজ ওদের ঐ গান শুনে আমার বুক ফেটে যাচ্চে। অধ্যাপক নন্দিনী এই এরাও ত ফসল কাটত । বছর বছর পৌষের সকালে এদের গলায় এই গান শুনেচি। ঐ শোনো না : বাদল এসে রচেছিল ছায়ার মায়াঘর, শ্যামে সোনায় মিলন হল এই যে মাঠের মাঝে, ভালোবাসার মাটি মোদের তাই ত_এমন সাজে । তাই যে গাহি গান তাই যে সুখে খাটি ॥ কতবার এইখানে বসে বসে ছবি দেখেচি, সেই আমাদের বঁাশ বাগানে, বাবলা বনে, শর্ষে ক্ষেতে এই পৌষের রোদুর। আজ বুঝতে পারচি, সে গাঁয়ে যদি কখনো ফিরি আর কোনোদিন এই গানে মন সাড়া দেবে না। সে পৌষের রোদুর আমার গেল মরে’। —ও কি ও, হঠাৎ যেন আৰ্ত্তনাদ শোনা গেল। কেন, কি হল তোমার ? অধ্যাপক এ বোধ হচ্চে যেন আমাদের সেই পালোয়ান । নন্দিনী কে সে ? অধ্যাপক সেই যে জগদ্বিখ্যাত গৰ্জ্জু। যার ভাই ভজন স্পৰ্দ্ধা করে রাজার সঙ্গে কুস্তি করতে এল— তারপরে তার লঙেটির একটা ছেড়া সুতোও কোথাও দেখা গেল না। সেই রাগে গজু এসেছিল তাল ঠুকে । ওকে গোড়াতেই বলেছিলুম এ রাজ্যে সুরঙ্গ খুদতে চাও ত এসো মরতে মরতেও কিছুদিন বেঁচে থাকবে আর যদি পৌরুষ