পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8이 이 আমার আড্ডাতেই যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ে ওকে ভুলিয়ে নিয়ে এলে, আর তার পরেই ওকে কোথায় ধরে নিয়ে গেল ! নন্দিনী হবে, তা হবে । আমার সঙ্গে এসেই ও বিপদে পড়েচে । তোমাদের আড্ডায় ও নিরাপদে থাকত। সে কথা ও নিজেই বললে । চনদা তবে কেন আনলি ওকে ভুলিয়ে, সৰ্ব্বনাশী ? নন্দিনী ও যে বললে ও মুক্তি চায় । চন্দ্রা ভালো মুক্তি দিয়েচিস ওকে, আগুনখাকী । নন্দিনী আমি ত ওর সব কথা বুঝতে পারিনে চন্দ্ৰা ! ও কেন আমাকে বললে, আর সব বন্ধন কিছুই না, ভাঙতে হবে ভয়ের শিকল, বিপদ এড়িয়ে চলার বেড়াটা, বিপদের তলায় তলিয়ে পাব মুক্তি – বন্দিশালার দরজার কাছে দাড়িয়ে বলে গেল, “সবাইকে বোলো, আমি ছাড় পেয়েচি ; তোমরা যারা কেবল বাইরে ছাড়া আছ তোমাদের উপায় কি ?” ফাগুলাল, ও বললে নিরাপদের মার থেকে ও মুক্তি চায়, আমি ওকে বাঁচাব কেমন VL সন্দেহ করিনি, নন্দিনী । কিন্তু আজ কেমনতর ঠেকচে যে ও ত আমার আড্ডাতেই যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়েই ভুলিয়ে নিয়ে এলে, তার পরেই ওকে কোথায় ধরে নিয়ে গেল । নন্দিনী হবে, তা হবে । আমার সঙ্গে এসেই বিপদে পড়েচে । তোমাদের আডডায় নিরাপদে থাকত। সে কথা নিজেই বললে । চন্দ্রা তবে কেন আনলি ওকে ভুলিয়ে, সৰ্ব্বনাশী ? নন্দিনী ও যে বললে, ও মুক্তি চায় । চন্দ্রা ভালো মুক্তি দিয়েচিস ওকে, আগুনখাকী ! নন্দিনী আমি ত ওর সব কথা বুঝতে পারিনি, চন্দ্রা। ও কেন আমাকে বললে, আর সব বন্ধন কিছুই না, ভাঙতে হবে ভয়ের শিকল, ভাঙতে হবে বিপদ এড়িয়ে চলার বেড়াটা,– বিপদের তলায় তলিয়ে পেতে হবে মুক্তি । বন্দিশালার দরজার কাছে দাড়িয়ে বলে গেল— “সবাইকে বোলো, আমি ছাড় পেয়েচি– তোমরা যারা কেবল বাইরে ছাড়া আছ, তোমাদের উপায় কি ?” ফাগুলাল, ও যে বললে— নিরাপদের মার থেকে ও মুক্তি চায়, আমি ওকে বাঁচাব কেমন