পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○ ど)○ খসড়াটির শুরু ও শেষ অংশ উদ্ধৃত হল : (ক) শুরু : নন্দিনী ( আপন মনে ) আজ আমার রঞ্জন আসবে, আসবে, আসবে। অধ্যাপক নন্দিনী ! নন্দিনী কি অধ্যাপক ! অধ্যাপক ক্ষণে ক্ষণে অমন চমক লাগিয়ে দিয়ে চলে যাও কেন ? যখন মনটাকে নাড়া দিয়েই যাও তখন না হয় সাড়া দিয়েই বা গেলে ! একটু দাড়াও, দুটাে কথা বলি ! নন্দিনী আমাকে তোমার কিসের দরকার ? অধ্যাপক দরকারের কথা যদি বললে ঐ দেখ– দেখ, আমাদের খোদাইকরের দল পৃথিবীর বুক চিরে দরকারের বোঝা মাথায় কীটের মত সুরঙ্গের ভিতর থেকে উপরে উঠে আসচে। এই যক্ষপুরে— আমাদের যা-কিছু ধন সব ঐ ধূলোর নাড়ীর ধন সোনা। কিন্তু সুন্দরী, তুমি যে-সোনা সে ত ধুলোর নয়, সে যে আলোর । দরকারের বাঁধনে তাকে কে বাঁধবে ? নন্দিনী বারে বারে তুমি ঐ একই কথা বল। আমাকে দেখে তোমার এত বিস্ময় কিসের অধ্যাপক ? অধ্যাপক সকালে ফুলের বনে যে-আলো আসে তাতে বিস্ময় নেই, কিন্তু পাকা দেয়ালের ফাটল দিয়ে যে আলো আসে সে আরেক কথা। যক্ষপুরে তুমি সেই আচমকা আলো। তুমিই বা এখানকার কথা কি ভাবচ বল দেখি । (খ) শেষ অংশ : ফাগুলাল চল, জয় নন্দিনীর বিশু ঐ যে দেখচি ধূলোয় পড়ে। ফাগুলাল হা ঐ ত তার রক্তকরবীর কঙ্কণ, ডান হাত থেকে খসে পড়েচে । তার হাতখানি আজ সে রিক্ত করে দিয়ে চলে গেল । বিশু তাকে বলেছিলুম তার হাত থেকে কিছু নেব না। নিতে হল, তার