পাতা:রক্ত-লেখা - নিত্যানন্দ কর্ম্মকার.pdf/২১

श्रृंश्वब्ण অসীম এ বিশ্বমাঝে মমতার শৃঙ্খল পরায়ে পিঞ্জরে অপবদ্ধ এক গৃহস্থের পার্থীর মতন, আগমণরে পুষিছে যেন সংসারের সোনার যশচয় দয়া, প্রীতি, স্নেহ দিয়ে মনোমত কত না যতন ! অবোধ জগনে লা মোর এ পরাণে কি বিপুল ক্ষুধা ; কি তীব্ৰ বেদন জ্বলে হৃদয়ের গহন মন্দিরে ; অনন্ত অভাব মোর চারিদিকে ঘেরিয়া উদাস, অণমণরে পাগল করি ঠেলে দেয় মরণের তীরে । অামার ব্যথাটী নিয়ে কেঁদে যায় শ্রাবণের মেঘ, আগমণর জালায় জলে প্রলয়ের বাড়ব-অনল । আমার অভাব নিয়ে শূন্ত চির অসীম উদাস, অামার এ বুক-ভরা অস্তহীন সাগরের জল । যদি বা ভুলিয়া কছু অলস পাখtট মেলি মোর, জীবনের প্রশস্তে বসি গাহি যদি এ প্রাণের গীতা, অামার হৃদয় তলে দুকুল ভাঙিয়া ছোটে বান, আগমণ রে ঘেরিয়া জলে শত লক্ষ মরণের চিতা । আমলি বাজিয়া উঠে অনা বন্ধে শতেক শৃঙ্খল, শত লৌহ কারা মোরে অন্ধকারে রোধ করে আসে, শত বজ্ৰ ভাঙি পড়ে নিম্পেষিত মস্তকে অামার, শত শেল বিদ্ধ হয় স্বপ্ন-ভাঙা মরমের পাশে । তাই আমি কৰ্ম্মরুদ্ধ সংসারের ক্ষুদ্র ফণক দিয়া দিবানিশি দুলিয়। এ জনমের মরণ-দোলায় ভবিষ্যের সীমাইৗন আনস্তের অস্তিমের পণনে নীরব লিথর চেয়ে আণছি ; ভাবিতেছি এ কারায় কোনদিল কেহ আসি ভুল করে দিবে নাকি নাড়া, অণমার স্বপন ভাঙি, বন্ধহীন শৃঙ্খল ছিড়িয়া আমার এ ভুল-করণ সাধনারে চরণে দলিয়া পূর্ণ সিদ্ধি সার্থকতা এ পহনে দিবে কি আনিয়া ! আমার সবুজ বুকে ঝরানোর যে মৰ্ম্মর-গাল, তাহারে বিফল করি আপনিবে ন সজীব পরাণ ! —: o 3– > v3