পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ সৰ্গ । >> সারথি মাতলির হস্তাবলম্বনপূৰ্ব্বক সেই চৈত্র রথে আরোহণ করিয়৷ নিশাচরের দুর্ভেদ্য ইন্দ্রদত্ত কবচ পরিধান করিলেন । উtহার পরস্পর সম্মুখীন হইয়া কিয়ৎ ক্ষণ অতিগম্ভীর ভাবে বিক্রম প্রকাশ করিতে লাগিলেন । পরে উভয়ের ঘোরতর সংগ্রাম আরম্ভ হইল । রাবণ একাকী হইয়াও হস্ত, মস্তক ও চরণের বাহুল্য প্রযুক্ত রণস্থলে অনেক বলিয়। প্রতীয়মান হইতে লাগিলেন । বাম, লোকপালবিজেত মহাবল পরাক্রান্ত দশাননের পরাক্রম দর্শনে মনে মনে, ধন্যবাদ করিতে লাগিলেম | পরে লঙ্কেশ্বর ক্রোধভরে রাঘবের দক্ষিণ ভুজে এক সুতীক্ষ সায়ক নিক্ষেশ করিলেন । রঘুপতিও তাছার বিশাল বক্ষঃস্থলে বক্তৃতুল্য এক বাণ নিক্ষেপ করিলেন । রামবাণ উছার বিস্তীর্ণ হৃদয় বিদীর্ণ করিয়া বুঝি নাগলোকে প্রিয়সংবাদ দিতে রসাতলে প্রবিষ্ট হুইল । পরে পরম্পর ঘোরতর বাগুযুদ্ধ ও শস্ত্রযুদ্ধ হইতে লাগিল। তৎকালে বিজয়ন্ত্র কোন পক্ষ অশ্রয় করিবেম সন্দিহান হুইয়। মধ্যবৰ্ত্তিনী রছিলেন । এক দিকে দেবগণ রামের বিক্রমাবলোকনে প্রীত হইয়। তন্মস্তকে পুষ্পবৃষ্টি করিতেছেন, আর দিকে দানবগণ রাবণের রণনৈপুণ্য দর্শনে সম্ভষ্ট হইয়। তদীয় মস্তকে কুসুম বর্ষণ করিতেছেন। মহাবল পরাক্রান্ত দশানন মহোৎসাহ সহকারে চতুস্তালপরিমিত লোহকীলপরিবৃত শজয়ী নামে এক প্রকাগু অস্ত্র নিক্ষেপ করিলেন। রঘুবীর অৰ্দ্ধচন্দ্রমুখ বাণ দ্বারা সেই শতয়ী কদলীর ন্যায় শতখও করিয় রাবণের জয়াশীও ছেদন করিলেন । পরিশেষে রঘুনাথ বৃহৎ কোদণ্ডে অমোঘ ব্রহ্মাস্ত্র যোজনা করিলেন । সেই মছন্ত্র পরিত্যাগ করিবা, মাত্র গগনমণ্ডলে উঠিয় শত শত করলে বিষধরের আকার ধরিঙ্গ । তাছাদের ভীষণ ফণমগুল প্রচণ্ডালোকে প্রদীপ্ত হইতে লাগিল । পরে শ্রেণীবদ্ধ হইয়া নক্ষত্ৰবেগে গমনপূৰ্ব্বক অর্ধনিমেষমধ্যে দশবদমের বদনপংক্তি এককালেই ছেদন করিল। রাবণের শস্ত্রচ্ছিন্ন কণ্ঠপরম্পর ভরদিত জল মধ্যে প্রতিবিম্বিত বালার্কের ন্যায় সাতিশয় শোভমান ছইল। মহাবীর রাবণের "শিরঃপংক্তি ছিন্ন হইয়া