পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ সর্গ। অনন্তর পুষ্পক রথ গগনমার্গে উঠির বায়ুবেগে ধাবমান হইল । রামচন্দ্র কিয়দূর যাইয়া সমুদ্র দর্শনে প্রিয়তম সীতাকে কছিলেন, প্রিয়ে! দেখ দেখ এই বিস্তীর্ণ মহার্ণবমধ্যে মলয় ভূধর পর্যন্ত যে বৃহৎ সেতু লক্ষ্য হইতেছে, আমি তোমারই নিমিত্ত এ সেতু বন্ধন করিয়ছিলাম। সমুদ্র অতিশয় প্রসন্ন ও বিস্তীর্ণ, মধ্যে মধ্যে ধবলবর্ণ ফেনপুঞ্জ রহিয়াছে, আবার মদীয় সেতু দ্বার দ্বিখণ্ডে বিভক্ত হইয়াছে ; দেখিলে বোধ হয় যেন ছায়াপথে বিভক্ত তারকিত শারদীয় নভোমণ্ডল বিরাজিত হইতেছে। অামাদিগের স্বৰ্য্যবংশে সগর নামে এক মহাপ্রভাবশালী মহীপাল ছিলেন । তাছার ষষ্টিসহস্ৰ পুত্র । একদা মহারাজ সগর অশ্বমেধার্থে অশ্ব ছাড়িয়া দেন । তদর্শনে দেবরাজ শঙ্কিত হুইয়া সেই অশ্বমেধীয় অশ্ব অপহরণপূৰ্ব্বক রসাতলে তপস্যমান কপিল মহর্ষির সন্নিধানে বন্ধন করিয়া রাখেন। সগরের পুত্ৰগণ তাছার অনুসন্ধান পাইয় ভূপৃষ্ঠ বিদারণপূৰ্ব্বক পাতালে প্রবেশ করেন । তাছাতেই এই বিস্তীর্ণ মহাবি উৎপন্ন হুইয়াছে। এই মছাসাগর সামান্ত নহে। ইছা হইতে বাষ্পজল উঠিয় মেঘম গুল,স্থষ্টি হুইয়া থাকে। ইহাতে মণি মুক্ত। প্রবালাদি মানবিধ রত্ব ও বাড়বানল জন্মে। পরমরমণীয় চন্দ্রও ইছা হইতেই উৎপন্ন স্থইয়াছেন। এই মহার্ণবের দৈর্ঘ্য, বিস্তার ও গভীরতার ইয়ত্তা করা অতিশয় দুষ্কর। ভগবান্‌ ভূতভাবন মারায়ণ সৰ্ব্বলোকসংহারপূৰ্ব্বক ইহার এক পার্শ্বে শয়ন করিয়া যোগনিদ্রা অনুভব করিয়াছিলেন । যখন ত্ৰিদশাধিপতি ইন্দ্র সুতীক্ষ' বজাক্স দ্বারা পৰ্ব্বত