পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సి$ রঘুবংশ । বিরছাৰস্থায় মেঘশব্দশ্রবণে তাছা মনে পড়িয়া আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইত। প্রিয়ে! ঐ দেখ পম্পাসরোবর দেখা যাইতেছে। বেতসবৰ্মণরত এই সরসীতে চঞ্চল সারসগণকে কেলি করিতে দেখিয়। তোমার অলকাৱত চকিতনেত্ৰ সুচাৰু বদনকমল স্মৃতিপথে আরূঢ় হইয়া আমার অন্তরাত্ম নিতান্ত অধীর হইয় উঠিত । তৎকালে এই পম্পসিলিলে চক্রবাক চক্রবাকীর মুখে উৎপলকেশর প্রদান করিতেছে দেখিয়া আমার চক্ষের জলে বক্ষঃস্থল ভাসিয়া যাইত। প্রিয়ে! দেখ দেখ, গোদাবরীর সারসগণ আমাদিগের বিমানের কিঙ্কিণীরব শুনিয়া গগনমার্গে কেমন শ্রেণীবদ্ধ হইয়। অসিতেছে। আহা ! অনেক কালের পর আবার পঞ্চবটী দেখিলাম। অত্রত্য কৃষ্ণসারগণ আমাদিগের রথরব শুনিয়া কেমন উৰ্দ্ধমুখে রছিয়াছে । আমি মৃগয়া হইতে প্রত্যাগত হইয়। এই গোদাবরীর তীরস্থ বেতসকুঞ্জে সুশীতল বায়ু সেবন করিয়৷ শ্রান্তিদূর করিতাম এবং ত্বদীয় ক্রোড়দেশে মস্তকার্পণপূর্বক মুখে নিদ্র। যাইতাম । সম্প্রতি পুনর্বার সেইরূপ শয়ন করিতে ইচ্ছা হইতেছে । প্রিয়ে ! এ দেখ মহর্ষি অগস্ত্যের পুণ্যশ্রম | যিনি ভ্রভঙ্গিমাত্রে নহুষ রাজাকে ইন্দ্রপদ হইতে পরিচু্যত করিয়াছিলেন। এই মহর্ষির হবিগন্ধবিশিষ্ট ত্রেভাগ্নিখুমের অগ্রশিখ। অস্ত্ৰণ করিয়া অামার অন্তরীক্ষা পবিত্র হইল। ঐ দেখ শতিকরি ঋষির পঞ্চাপসরোনামক ক্রীড়াসরোবর দেখা যাইতেছে। পঞ্চাপসরের চারি ধীরে অরণ্য, দূর হইতে দেখিয় বোধ হয় যেন মেঘমধ্যে চন্দ্রবিম্ব বিরাজমান রছিয়াছে পূৰ্ব্বকালে এই মছর্ষি কুশাকুরমাত্র ভক্ষণ করিয়া অতিশয় কঠোর তপস্যা করিতেন । দেবরাজ ইন্দ্র তদর্শনে শঙ্কিত হইয়। তপোবিয়ার্থ পাঁচটি অপসর প্রেরণ করেন । তাছার শাতকর্মর সমাধিভেদে কৃতকার্ষ্য হইয় এই সরোবরের জলান্তৰ্গতপ্রাসাদমধ্যে অনবরত উছার সহিত ক্রীড়া কৌতুক করিতেছে । সেই সকল অপরাগণের মৃদঙ্গৰাঞ্জামুগত সঙ্গীতখনি আমাদের পুষ্পক রথের চন্দ্রশালায় প্রতিদ্বনিত হইতেছে । ঐ দেখ জার