পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ সর্গ । ॐ१ এক ঋষি তপস্যা করিতেছেন । ইহঁর চতুর্দিকে চারি প্রদীপ্ত হুতশন জ্বলিতেছে। প্রচণ্ড মাৰ্ত্তগু উৰ্দ্ধভাগে তাপদান করিতেছেন। এই পঞ্চতপাঃ মহর্ষির নাম সুতীক্ষ । ইহঁীর নামমাত্র সুতীক্ষ্ণ, ফলতঃ ইনি অতিশয় প্রশান্ত । ত্ৰিদশাধিপতি সুতীক্ষুের ভয়ঙ্কর তপস্যায় ভীত হইয়া কতকগুলি অপর প্রেরণ করিয়াছিলেন। তাছার নানাপ্রকার মায়াজাল বিস্তার করিয়াও মহৰ্ষির অবিচলিত চিভৱত্তি । বিরুত করিতে পারে নাই। এই মহর্ষি মৌমত্রতাবলম্বী। ইনি সভাজমার্থ স্বীয় দক্ষিণ বাহু আমার দিকে উন্নত করিয়া এবং শিরঃকম্পমাত্র আমার প্রণিপাত স্বীকার করিয়া বিমানব্যবহিত দৃষ্টি পুনর্বার স্বৰ্য্যমণ্ডলে সমৰ্পণ করিলেন । প্রিয়ে ! এ দেখ শরভঙ্গ ঋষির পবিত্র তপোধন। মছর্ষি শরভঙ্গ প্রথমতঃ সমিধাদি স্বার। ছেমি করিতেন, পরিশেষে জ্বলন্ত হুতাশমে স্বীয় কলেবর অস্থিতি দিয়াছিলেন । তিনি লেীকান্তর গমন করিলেও তাছার অtশ্রমস্থ তৰুগণ ছায়দানে পথিকগণের শ্রমচ্ছেদ ও ভূমধুরপ্রচুরফলদানে ক্ষুধানিৱৰ্ত্তি করিয়া যেন পুত্রের স্তর তদীয় অতিথিসৎকারব্রত প্রতিপালন করিতেছে । অগ্নি কৌতুকিনি ! এ দেখ পুরোভাগে সেই চিত্ৰকূট মহীধর । চিত্ৰকূটের গুহা প্রস্রবণশব্দে প্রতিস্থনিত এবং শিখরাগ্রে কৃষ্ণবর্ণ মেঘৱন্দে সংলগ্ন, দেখিয় বোধ হইতেছে যেন কোন বৃহৎকায় বৃষভ শৃঙ্গাঞ্জে কর্দম খনন করিয়া অতিদপে শব্দ করিড়েছে। দেখ ঐ সেই চিত্ৰকুটসমীপবৰ্ত্তিনী মন্দাকিনী মদী কেমন স্বক্ষ রূপে প্রতীয়মান ছইতেছে । মন্দাকিনীর জল অতিনিৰ্ম্মল এবং উছাতে প্রবাহসম্পর্ক নাই, অতএব দূর হইতে দেখিয় বোধ হইতেছে যেন পৃথিবীর কণ্ঠগত মুক্তাবলী ভূতলে পতিত রছিয়াছে। ঐ দেখ পৰ্ব্বতাসম্ববতী সেই}তমালতক । আমি যাহার সুগন্ধি পল্লব লইয়া তোমার স্বর্ণবর্ণগণ্ডলী কণভূষণ প্রস্তুত করিয়াছলাম। আর ঐ যে বন লক্ষ্য হইতেছে, উন্থ অত্ৰিমুনির তপোবন। ঐ ওপোবন দেখিলেই মহর্ষি অত্রর মহাপ্রভার অনুভব হয়। উছাতে বিরোধী জন্তগণ পরম্পর নির্বিরোধে অবস্থিতি করে, তৰুশাখা সকল

  • * - ఫిషి