পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/১১৩

ఇసి রঘুবংশ । কালে তদীয় উন্নত মস্তকে পতিত জলধার বিন্ধীজির শিখরদেশে মেঘনির্গলিত বারিধারার স্থায় প্রতীয়মান হইতে লাগিল। রাম অভিষেকানন্তর সুচাৰু রাজবেশ ধারণ করিয়া যাহার পর নাই মনোহর হইলেন ; না ছইবেন কেন, যিনি তপস্বিবেশ ধারণ করিয়াও দর্শনীয়, তাহার রাজবেশ ধারণ করা বাহুল্যমাত্র। এ দিকে অযোধ্যার রাজমার্থে উভূঙ্গ তোরণ সকল বিরাজিত হইল । স্থানে স্থামে হত্যগীত, স্থানে স্থানে ৰাদ্যোপ্তম হইতে লাগিল । পেীরবৃন্দের আর আমদের পরিসীমা রছিল না । রাষ মনোছর রাজবেশ ধারণ করিয়া অপূৰ্ব্ব রথে আরোহণ করিলেন । বিলয়াবনত ভরত তদীয় মস্তকোপরি ছত্র ধারণ করিলেন । লক্ষণ ও শক্রয় উভয় পাশ্বে চামর ব্যঞ্জন করিতে লাগিলেন । এই রূপে বুথারোহণ করিয়া কপিরাক্ষসগণ ও বৃদ্ধ অমাত্যবর্গের সহিত পৈতৃক রাজধানী প্রবেশ করিলেন। রামজননীগণ জনককুছিতার মনোহর বেশভূষা করিয়া দিলেন। সীতা স্থসজ্জিত হইয়া কণীরথ আরোহণপূৰ্ব্বক রামের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন । পেীরকন্যার গবাক্ষদ্বরে দণ্ডায়মান হুইয়া অঞ্জলিপ্রসারণপূর্বক রঘুবীরপত্নী সীতাকে প্রণাম করিতে লাগিল এবং তাছার সৰ্ব্বাঙ্গে অত্ৰিপত্নীদত্ত উজ্জ্বলতর অঙ্গরাগ জ্বলন্ত অনলপ্রায় নিরীক্ষণ করিয়া অtশ্চৰ্য্যবোধ করিল। মহানুভাব রামচন্দ্র ভবনসন্নিধানে আসিয়া প্রথমতঃ মিত্রবর্গের নিমিত্ত সুরম্য হুৰ্ম্ম সকল নির্দিষ্ট করিয়া দিলেন । পরে স্বয়ং রেদিন করিতে করিতে অলেখ্যমাত্রাবশিষ্ট পিতার ভবনে প্রবেশ করিলেন । তথায় ভরতজননী কৈকেয়ীর লজ্জাপনোদনাৰ্থে কৃতাঞ্জলিপুটে কছিলেন মাতঃ ! বিবেচনা করিয়া দেখিলে আপনারই পুণ্যবলে পিত{ স্বৰ্গফলপ্রদ অঙ্গীকার হইতে পরিভ্রষ্ট হন নাই। পরে নামাধিৰ উপছরে সুগ্ৰীত্ব বিভীষণাদি কপি ও রাক্ষসগণের চিত্তরঞ্জন করিতে ষ্ঠারম্ভ করিলেন । তাহার কামচারী, হুইয়াও রামের অবাত্মনসগোচর উপচার দ্বারা বিস্ময়াপন্ন হইয়। এমত আলাদসাগরে নয় হইলেন যে, পঞ্চদশ দিবস কি রূপে অতিবাহিত হইল কিছুই জানিতে