পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুবংশ । لاه ؤ লেম না । কেবল মনে মনেই দুঃখসাগরে মগ্ন হইতে লাগিলেন । অনন্তর রাম বিনয়াবনত লক্ষণকে সস্নেহ বাক্যে আহবান করিয়৷ কছিলেন বৎস! আমি নির্জনে তোমার ভ্রাতৃজায়ারে গর্ভদেtছদ জিজ্ঞাস করিয়াছিলাম, তিনি কছিলেন, " ভাগীরথীতীরস্থতপোবনদর্শনে আমার নিতান্ত ঔৎসুক্য হইয়াছে " অতএব হে ভ্রাতঃ ! তুমি সীতারে বুখারোহণ করাইয়৷ তথায় লইয়া যাইবার ছলে মহর্ষি বালী*কির তপোবনে তদীয় অঞ্জমসন্নিধানে পরিত্যাগ করিয়া আছস । লক্ষণ রামের নিতান্ত আজ্ঞাবহ । তিনি শুনিয়াছিলেন, মহাবীর পরশুরাম পিতার অজ্ঞায় কোন বিচার না করিয়া শত্ৰুবং স্বহস্তে জননীর শিরশেছদন করিয়াছিলেন । সেই নিদর্শন সমদৰ্শনে তিনিও পিতৃতুল্য জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার নিদেশপালনে সম্মতিপ্রকাশপূৰ্ব্বক অতি কৰুণ স্বয়ে কছিলেন, আর্য্য ! অপনি যখন যাহা অাদেশ করিয়াছেন আমরা কখন তাছাতে কোন দ্বিক্ষক্তি বা আপত্তি উথাপন করি নাই ; সুতরাং এক্ষণেও এই নিষ্ঠুর কৰ্ম্ম করিতে প্রস্তুত আছি। অনন্তর রামানুজ অভিসন্ধি গোপনপূর্বক সীতাকে তপোবনে যাইবার কথা কছিলেন। সীতা অনুকুলবার্তাশ্রবণে সাতিশয় সম্প্রীত ছইলেন। পরে সুমন্ত্র সারথি রথ প্রস্তুত করিয়া আনিলেন। লক্ষণ ভ্রাতৃজায় জনকতনয়াকে রথে আরোহিত করিয়া প্রস্থান করিলেন। রামদয়িত পথিমধ্যে অতিমমোহর প্রদেশ সকল অবলোকন করিয়া মনে মমে প্রিয়তমকে প্রিয়ঙ্কর বলিয়া অপাের আনন্দসলিলে মগ্ন হইতে লাগিলেন । কিন্তু তিনি তখন পৰ্য্যন্ত ইছ বুঝিতে পারিলেন না যে, রামচন্দ্ৰ ভঁাছার প্রতি সদয় উীৰ পরিত্যাগপূৰ্ব্বক তীক্ষধার খঙ্গস্বরা হইয়াছেন । কি আশ্চৰ্য্য ! লক্ষণ জনকাত্মজীৱ নিকট যে ভাবী দুঃখ সঙ্গোপনে রাখিয়াছিলেন, সীতার দক্ষিণক্ষি স্কৃতি ছইয়। সেই প্রবল দুঃখ ব্যক্ত করিয়া দিল। তিনি অলক্ষণদর্শনে তৎক্ষণাৎ বিষণ্ণবদন ছইয়া মনে করিলেন, 6 ন জানি আমার ভাগ্যে কি অমঙ্গল ঘটবে, যাহা ছউক, যেন অর্ষ্যপুজের ও দেবুরগণের কোন অকুশলঘটন না হয়।" লীগ মনে মনে এই প্রার্থন