পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ সর্গ । $st করিতেছেন এমন সময়ে রথ ভাগীরধীতীরে উপনীত ছইল । হুমন্ত্র রথ নিরস্ত করিলেন। লক্ষণ সীতাকে রথ হইতে গঙ্গার পুলিনদেশে মামাইলেন । ইতিমধ্যে নিষাদগণ তরণী আনয়ন করিল। কিয়ৎ ক্ষণ পরে জাহ্নবীর পর পারে উপস্থিত হুইলেম । তখন লক্ষণ বাষ্পগদগদ স্বরে, মেঘ যেমন ঔৎপাতিক শিলাবর্ষণ করে তদ্রুপ কথঞ্চিৎ সীতার নিকট রাজাজ্ঞ প্রকাশ করিলেন। সীতা অকস্মাৎ বজ্রপাতসদৃশ অতিনিদাৰুণ রাজাজ্ঞ শ্রবণ করিয়া ৰাতা-" হতলতার স্কায় তৎক্ষণাৎ ভূতলে পতিত ও মূচ্ছিত হইলেন। তাছার সংজ্ঞার লেশমাত্র রছিল না । তৎকালে তিনি পরিত্যাগছুঃখ অণুমাত্রও জানিতে পারলেন না। পৃষ্ঠীভুক্ত পৃথ্বীতলে পতিত হইলেন, অবনী তাছার জননী হুইয়াও, মহাকুলপ্রন্থত সদৃত্ত ভৰ্ত্তা রামচন্দ্র অকস্মাৎ কেন উছকে পরিত্যাগ করলেন এইরূপ সংশয়িত হুইয়াই বুঝি উপহাকে স্থানদান করিলেন দা । অনন্তর সীতা কুমিত্ৰাতলয়ের প্রযত্বে পুনর্বার চেতন পাইয়া উঠিলেম, কিন্তু উছার সেই চৈতন্যলাভ অচেতনাবস্থা হইতে সমধিক কষ্টদায়ক হুইল । রাম বিনাপরাধে তাছাকে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, তথাপি তিনি প্রিয়তমের বিন্দুমাত্র দোষরোপ না করিয়া, আপনাকেই চিরদুঃখিনী, দুষ্কৰ্ম্মকারিণী, হতভাগিনী বলিয়৷ পুনঃপুনঃ নিন্দ করিতে লাগিলেম । লক্ষণ প্রবোধবচমে পতিব্ৰত সীতাকে অশ্বাসপ্রদান করিয়া এৰং মহর্ষি বাল্মীকির আশ্রমমার্ক্স প্রদর্শন করিয়া, অতিবিনীত ভাবে কৃতাঞ্জলিপুটে নিবেদন করিলেন, অর্ষ্যে ! আমি পরাধীন, প্রভুর অজ্ঞা প্রতিপালন জন্য আমার এই পাষাণহৃদয়ের কাৰ্য্যটি ক্ষমা করিতে হুইবে, এই বলিয়। তদীয় পদতলে পড়িলেন। সীতা উহাকে উঠাইয়া কছিলেন, বৎস! তুমি চিরজীবী হও । আমি তোমার প্রতি কিঞ্চিস্থাত্র কষ্ট বা অসন্তুষ্ট হুই নাই । তোমার অপরাধ কি ! তুমি অগ্রজের অজ্ঞ প্রতিপালন করিলে। আমারই ভাগ্যদোষে আমি চিরজীবনের নিমিত রামের অনুগ্রহে বঞ্চিত হইলাম । যাহা হউক, শ্বশ্ৰুদিগকে এ জন্মের মত আমার প্রণাম জাম