পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/১২৫

রঘুবংশ । 8גצ' "ঙ্গবিচার ভিন্ন প্রজাতে অকালমৃত্যু কদাচ প্রবেশ করিতে পারে ম। । মহামুভাব রামচন্দ্র উহার শোকরভান্ত শ্রবণ করিয়া সাতিশয় লজ্জিত হইলেন, কারণ ইক্ষুকুদিগের রাজ্যে আর কখনই অকালমৃত্যু পদার্পণ করিতে পারে নাই। পরে "ক্ষণ কাল ক্ষম কৰুন" এই বলিয়া শোকদুঃখিত দ্বিজকে আশ্বাস প্রদান করিয়া হ্রদস্তি কৃতীস্তকে পরাজয় করিবার মনসে তৎক্ষণাৎ পুষ্পক বুথ স্মরণ করিলেন। রথ স্মরণমত্রে উপস্থিত হইল। রামচন্দ্ৰ শস্ত্রগ্রহণপূৰ্ব্বক রথে আরোহণ করিয়া চলিলেন । পথিমধ্যে দৈববাণী হইল, “ মহারাজ ! আপনকার প্রজাতে কোন অপচার ঘটিয়াছে, অনুসন্ধান করিয়া উহ। নিবারণ করুন, তাহ হইলে মনস্বামন সিদ্ধ হুইবে ।” রাম সেই মাগু বাক্যে বিশ্বাস করিয়া অপচরপ্রশমমার্থ চারি দিক্ অন্বেষণ করিতে করিতে দেখিলেম, এক ব্যক্তি ব্লক্ষের নিম্ন দেশে বহিঃস্থাপন করিয়ছে, স্বয়ং রক্ষশাখার পাদস্বয় উদ্বন্ধন করিয়া অধোমুণে ধূমপানপূর্বক ঘোরতর কঠোর তপস্য ক্ষরিতেছে । ধুমম্পর্শে তাছার দুই চক্ষু সীতিশয় রক্তবর্ণ হুইয়াছে। পরে ধূমপায়ী তপস্বীকে নামধমাদি জিজ্ঞাস করিলেন। সে কছিল, মহাশয় ! আমি শূদ্র, অামার নাম শঙ্কুক, সাম্রাজ্যাভিলাষে এই অতুগে তপস্যা করিতেছি । রাজ বিবেচনা করিলেন, এই ত বৰ্ণধর্মের ব্যতিক্রম দেখিতেছি । এ শূদ্র, ইছার তপস্যায় অধিকার মাই, অতএব ইস্থায় শিরশেছদন কল্প কৰ্ত্তব্য । এই বলিয়া শস্ত্রগ্রহণপূৰ্ব্বক তাহার মস্তকচ্ছেদন করিলেন। শম্বুক স্বয়ং রাজা কর্তৃক দণ্ডিত হইয় যেরূপ সদগতি লাভ করিল, শত বৎসর দুষ্কর তপস্ত করিলেও সেরূপ সদাতি লাভ করা দুর্ঘট হইত। রামের আগমনকালে মছর্ষি অগস্ত্য উপহীকে এক অপূৰ্ব্ব দিব্য তরণ প্রদান করিলেন। রামচন্দ্র ঋষিদত্ত দিব্য ভূষণ হস্তে ধারণ করিয়া অযেধ্যায় প্রত্যাগমন করিলেন । এ দিকে মৃত দ্বিজসন্তান সঞ্জীবিত ছইল। ব্রাহ্মণ পুঞ্জলাভে সাতিশয় সম্ভষ্ট হইয়। কৃতাস্তত্রীড়া স্বামচন্সের স্তৰ স্তুতি দ্বার পূৰ্ব্বেদিত নিন্দ পরিহার করিলেন। ।