পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

38 রঘুবংশ । কুশ জলবিহারনস্তর প্রমদাগণের সছিত তীরন্থ উপকাৰ্য্যায় জাগমন করিবণমাত্র দেখিলেম, তাহার বাস্থতে সে দিব্যাভরণ মই । তিনি উৎক্ষণাৎ সেই পিতৃদত্ত জৈত্রীভরণের লাভপ্রত্যাশায় জালিক 'পুৰুষদিগকে অন্বেষণ করিতে আদেশ দিলেন । তাছার বহুতর প্রযত্ন করিয়াও কৃতকার্য হইতে পারিল না । পরে স্থপতিগোচরে অtসিয়া বিনীত বচনে নিবেদন করিল, মহারাজ ! আমরা অনেক অন্বেষণ করিয়াও আপনকার আভরণ পাইলাম মা ! এই হ্রদের অভ্যস্তরে কুমুদ নামে নাগরাজ বাস করেন। বোধ হয়, লোভ প্রযুক্ত তিনিই অপহরণ করিয়া থাকিবেন । অপছরণ করিয়াছে শুনিয়া মহারাজ কুশের দুই চক্ষু ক্রোধে রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল । তিনি নাগরাজের আশু বিনাশার্থ গৰুড়ান্ত্র সন্ধান করিলেন। শরসন্ধান করিবামাত্র হ্রদের জল উচ্ছলিত হইয়। উঠিল, এবং করিয়ংহিতের ন্যায় তথা হইতে ভয়ঙ্কর শব্দ উঠিতে লাগিল। ক্ষণ কাল পরে নাগরাজ কুমুদ পরম সুন্দরী এক কুমারী সমভিব্যাহারে করিয়া হ্রদ হইতে গাত্রোথন করিলেন । কুশ সেই কুমারীর করদেশে স্বকীয় দিব্যাভরণ অবলোকন করিয়া ক্ৰোধপরিহারপূর্বক গৰুড়াস্ত্র প্রতিসংহার করিলেন। কুমুদ ত্রিলোকনাথ রঘুনাথের পুত্রকে প্ৰণিপাত করিয়া কহিতে লাগিলেন, মহারাজ ! আমি জানি আপনি সুরকার্য্যোঙ্কত রামরূপী ভগবান নারীয়ণের পুঞ্জ। আপনি আমার আরাধনীয় বস্তু। আমার কি , সাধ্য যে, আমি অপমকার কোপোদ্দীপন করি । আমার এই ভগিনীটি কন্দুকক্রীড়া করিতেছিল। এমত সময়ে হ্রদ হইতে অধঃপতিত ভবদীয় জাজ্বল্যমান জৈব্রাভরণ অবলোকন করিয়া বালচাপল্য প্রযুক্ত গ্রহণ কছিয়াছে। অতএব ছে মহারাজ ! এক্ষণে আপনি আপনকার আজানুলম্বিত ভুজে পুনর্বার এই দিব্যাভরণ সংযোজিত কৰুন এবং আমার এই কনিষ্ঠ ভগিনী কুমুদ্বতীকে স্বীয় সহধৰ্ম্মিণী রূপে

  • |

কুশ কুমুদের প্রার্থনায় সম্মতিপ্রকাশ করলেন। নাগরাজ কুমুদ