পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ সর্গ। *२१ দান করিলেন। বিচক্ষণ দ্বিজগণ পৰ্য্যগুধনলাভে সাতিশয় সম্ভষ্ট হইয়া উহাকে যথেষ্ট অশিীর্বাদ করিলেন । তিনি অধিরাজ হুইয়৷ বন্ধ ব্যক্তিদিগের বন্ধনশ্চেদ করিয়া দিলেন । ভারবহন, গোদোহন প্রভৃতি জন্তবর্গের ক্লেশকর কার্য্য সমুদায়ই নিষেধ করিলেন। ক্রীড়াবিহঙ্গমগণ র্তাহার আদেশক্রমে পঞ্জরবন্ধন হইতে মুক্তিলাভ করিয়া যখ। ইচ্ছা চলিয়! গেল । *س অনস্তর অতিথি রাজা, বেশগ্ৰহণার্থ কক্ষান্তরক্ষ্যস্ত পবিত্ৰ গজ-, দস্তাসনে উপবেশন করিলেন । প্রসাধকগণ হস্তক্ষালনপূৰ্ব্বক ধূপসংস্পশে তদীয় বেশসংস্কার করিয়া উছকে নানাধিধ অলঙ্কারে অলঙ্কত করিল। মৃগনাভিমুবাসিত চন্দন দ্বারা অঙ্গরাগ ও গোরোচন দ্বারা পত্ররচনা করিয়া দিল । অতিথি অলস্কৃত হইয়া, গলে মালাধারণ করিয়া এবং হংসচিত্রিত বিচিত্ৰ হুকুলযুগল পরিধান করির রাজলক্ষীবধুর বরের স্তায় দর্শনীয় হইলেন। হিরন্ময় অাদর্শওলে নেপথ্যশোভাসন্দর্শনকালে তাছার মুকুরপ্রবিষ্ট প্রতিবিম্ব অবলোকন করিয়া বোধ হইতে লাগিল যেন রবিকর পৃষ্ট সুমেৰু পৰ্ব্বতে কম্পতৰু প্রতিফলিত হইয়াছে । অতিথি এই রূপে বেশ ভুষ সমাপন করিয়া দেবসভাতুল্য রাজসভায় গমন করিলেন। পরিচারকগণ হস্তে ছত্র চামর লইয়া জয়শব্দ উচ্চারণপূর্বক অগ্রে অগ্রে ধাবমান হইল। রাজ রাজসভায় প্রবিষ্ট হইয়া চন্দ্ৰাতপৰিশিষ্ট পৈতৃক স্বপসনে উপবেশন করিলেন। প্ৰণতিপরায়ণ স্বপগণের মণিময় মুকুট দ্বার তদীয় গোঁবৰ্ণপাদপীঠ উদঘাটিত হইতে লাগিল। অনুজীবিগণ সেই নবীন রাজার প্রসন্ন মুখরাগ ও সম্মিত বচনপ্রয়োগ দেখিয় উছকে মূৰ্ত্তিমানূ বিশ্বাস বলিয়া মনে করিতে লাগিল । পরিশেষে অতিথি ঐরাবতাধিরূঢ় সুরপতির স্কার গজরাজে আরোহণপূর্বক রাজপথে ভ্ৰমণ করিয়া অযোধ্য নগরীকে ত্ৰিদশনগরীর ভায় শোভমান করিলেন। ভ্রমণকালে পুরসুন্দরীগণ র্তাহার অসামাক্স সেন্দির্ষ্য নিরীক্ষণ করিয়া নিতান্ত বিস্মিত ও একান্ত চমৎস্কৃত হইল। অযোধ্যায় স্বপ্রতিষ্ঠিত দেৰ দেৰী সকল প্ৰণতিসময়ে