পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२० রঘুবংশ । ফেললেন । দেবরাজ ছিন্ন ধমু: পরিত্যাগপূর্বক কোপে কম্পাদ্বিতকলেবর হইয়া রযুর প্রতি স্বীয় বীর্ষসৰ্ব্বস্বভূত অমোঘ বজ্রাস্ত্র নিক্ষেপ করিঙ্গেম। নিক্ষিপ্ত বজ্র প্রচণ্ড আলোকে দশ দিক্ আলোকময় করিয় ভয়ঙ্কর শব্দীড়ম্বরে রঘুর গাত্রে পতিত ছইল ; রঘু মূচ্ছিত হইয়া ভূতলে পড়িলেম । উছার সৈন্যগণ হাছাকারশব্দে রোদন করিতে লাগিল। রঘু মুহূৰ্ত্তমাত্রে উগ্রতর বজ্রাঘাতের ভয়ঙ্কর ব্যথা সংবরণ করিয়া পুনর্বার উঠিলেন। তখন তাহার সৈনিকের বিষাদপরিত্যাগপূৰ্ব্বক জয়ন্ধনি করিতে লাগিলেন। রযু পুনৰ্ব্বার যুদ্ধের নিমিত্ত বদ্ধপরিকর হইলেন। দেবরাজ যুবরাজকে পুনরায় যুদ্ধ করিতে উদ্ভত দেখিয়া এবং তাছার অলোকসীমান্য পরাক্রম অবলোকন করিয়া সাত্তিশয় প্রসন্ন হইলেন এবং কহিলেন রাজপুত্ৰ! তোমার অলৌকিক বীর্য নিরীক্ষণ করিয়া আমি যৎপরোনাস্তি প্রীত হইলাম। অামার এই অমোঘ বজ্রস্ত্রের আঘাত সম্ভ করে এমত লোক ত্রিলোকে লক্ষিত হুষ মণই । ইহা পৰ্ব্বতে পড়িলেও পৰ্ব্বত চূর্ণ হুইয়া যায়, কিন্তু তোমার কি আশ্চর্ঘ্য পরীক্রম! কি দৃঢ়তর কলেবর ! তুমি অনায়াসেই ঈদৃশ অস্ত্রের প্রহার সহ করিলে ! তোমার এই অসীম সারবত্ত সম্প্রদর্শনে আমি নিতান্ত প্রসন্ন হুইয়াছি, এক্ষণে বর প্রার্থনা কর, এই অশ্ব ব্যতিরেকে অীর যাহা চাহিবে তাঁহাই দিতে প্রস্তুত আছি । রন্ধু এই কথা শুনিয়া ভূগীরমুখ হইতে যে শৱ তুলিতেছিলেন তাছা পুনৰ্ব্বার তন্মধ্যে সংস্থাপন করিয়া দেবরাজকে নিবেদন করিলেন, ভগবন্‌ ! যদি অশ্বকে মিতান্তই অমোচ্য বলিয়া স্থির করিয়া থাকেন তবে অনুগ্রহ করিয়া আমার পিতা যাঙ্গতে আরব্ধ যজ্ঞের ফলভাগী হল এমত বর প্রদান কৰুন। আর আমি রক্ষণীয় বস্তু হারাইয়া সাতিশয় লজ্জিত হইয়াছি, পিতার নিকট এই বৃত্তান্ত স্বয়ং নিবেদন করিতে পারি না, অতএব যাহাতে আপনকার কোন দূত বাইয়া সভাস্থ ভূপালকে এই কথা বলিয় আইসে ইহাও করিতে হইবে, এই বলিয়া নিরস্তু হুইদেন ।