পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সর্গ। রঘু পিতৃদত্ত সাম্রাজ্যলাভে সায়ংকালীন হুতাশনের স্তায় পূৰ্ব্বাপেক্ষা অধিকতর প্রদীগু হইয়া উঠিলেন। তিনি সাম্রাজ্যে অভিষিক্ত হইয়। পৈতৃক রাজসিংহাসনে অধিরোহণ করিলেন, এ দিকে সমস্ত শক্রমণ্ডল উীত ও উৎকণ্ঠিত হইল। দিলীপের রাজত্বকালেই তদীয় বিপক্ষ ভূপালগণের হৃদয়ে বিদ্বেষমল প্রধূমিত হইয়াছিল, সম্প্রতি তৎপুত্র রঘুকে অধিরাজ হইতে শুনিয় তাহাদিগের সেই বিদ্বেষামল প্রজ্বলিত হইয়া উঠিল। প্রজাগণ যুবরাজের অভু্যদয় অবলোকন করিয়া অতিমাত্র সন্তুষ্ট হইল। সিংহাসনাধিরূঢ় ভূপতির মস্তকোপরি শ্বেতচ্ছত্র প্লুত হইয়াছে, স্তুতিপাঠকগণ স্তব স্তুতি করিতেছে, তৎকালে সম্রাটের তেজঃপুঞ্জসনদর্শনে সন্নিহিত জনগণ নিতান্ত বিস্মিত ও একান্ত চমৎকৃত হইয়া বিবেচনা করিতে লাগিল, বুঝি স্বয়ং রঞ্জলক্ষী প্রচ্ছন্ন বেশে আসিয়া রাজীকে পদ্মতিপত্র ধারণ করিয়াছেন এবং সরস্বতী বন্দিগণের কণ্ঠদেশে অধিষ্ঠান করির উপাসন। করিতেছেন । অনন্তর রঘু স্বায়ানুগত প্রজাপলিশ দ্বারা সকলের অনুরাণ ভাজন হইয়। উঠিলেন । লোকে প্রজাবৎসল রাজার অধিকারামন্তর স্বতন ভূপাল হইলে পূৰ্ব্ব ভূপতির বাৎসল্য স্মরণ করিয়া অনুতাপ করিয়া থাকে কিন্তু রঘুর রাজত্বকালে সেরূপ ঘটিল না, তিনি সদৃগুণবিস্তরপূর্বক প্রজাগণের এরূপ চিত্তাকর্ষণ করিলেন যে, প্রাচীন স্থপতির গুণ স্মরণ করি। তাছাদের কিছুমাত্র অনুতাপ করিতে হইল ম। রাজনীতিবিশারদ অমাত্যবর্গ অভিনব ভূপালকে সৎ ও অসৎ