পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&8 রঘুবংশ। গজ বাজী রন্ধী পদাতি প্রভৃতি চতুরঙ্গ সৈন্তদলে কি পথ, কি বিপণ সৰ্ব্ব স্থানই আকীর্ণ হুইয়া উঠিল । তাছাদিগের পদভরে মেদিনী কম্পমান হইতে লাগিল । , রঘু প্রথমতঃ পূৰ্ব্ব দেশে যাত্রা করিলেম । গগনকালে বায়ুবেগে সঞ্চালিত স্বজপঞ্জকা সকল পূৰ্ব্বদেশীয় বিপক্ষগণকে যেম তর্জন করিতে লাগিল। রথচক্রসংঘর্ষণে গগনমার্গে রজোরাশি উদ্ধৃত হইয়া চারি দিক্‌ আচ্ছন্ন করল, মেঘমেচক প্রকাও মদমত্ত মাতঙ্গ সকল মহীতল আৱত করিল, “তৎকালে নভস্তল মৃন্ময় ভূতলের এবং ভূতল মেঘাচ্ছন্ন নভস্তলের ন্যায় প্রতীয়মান হইতে লাগিল । অগ্রে প্রতাপ, তৎপশ্চাৎ শব্দ, তদমম্ভর সৈন্তরেণু, তৎপরে রধাশ্ব প্রভৃতি চতুরঙ্গ সেনাগণকে চলিতে দেখিয়া বোধ ছইতে লাগিল যেন রঘুসেনা চতুর্কুছে বিভক্ত হইয়। যাইতেছে। রঘু মৰুস্থলীতে সুচাৰুসরোবরখমন করিয়া, বনচ্ছেদন স্বারা পথ সকল প্রকাশিত করিয়া, এবং হ্রস্তর তরঙ্গিণীতে সংক্রমনির্মাণ করিয়া, প্রয়াণপথের সর্বত্রই নিজপ্রতাপের মুম্পস্ট চিহ্ন রাখিয়া চলিলেন । তিনি যে যে স্থান দিয়া গমন করিলেন, তত্ৰত্য ভূপালদিগের মধ্যে কতিপয়ের ধনসম্পত্তি লুণ্ঠন করিলেন, কতকগুলিকে পদচু্যত করিলেন, কাছাকেও বা যুদ্ধে পরাজিত করিলেন । রঘু এই রূপে ক্রমে ক্রমে পূৰ্ব্বদেশীয় সমস্ত জনপদ পরাজয় করিয়া, পরিশেষে পূৰ্ব্বসাগরের উপকুলবর্তী মুহ্মদেশে উত্তীর্ণ হইলেন। তিনি উদ্ধত লোকদিগের সংহৰ্ত্তা, বিনীতদিগের রক্ষাকৰ্ত্ত। সুহ্মদেশীয় ভূপালগণ রঘুর নিকট বিনীত ভাব অবলস্বম করিয়া আত্মরক্ষা করলেন । পূৰ্ব্বদেশীয় কতিপয় স্থপতি রণতরী আরোহণপূর্বক রঘুর সহিত যুদ্ধ করিতে আসিয়াছিলেন, রঘু প্রথমতঃ উীহাদিগকে রণে পরাজয় করিয়া স্ব স্ব পদে পুনর্মিযুক্ত করিলেন । -- অনন্তর গঙ্গার প্রধাহমধ্যবর্তী উপদ্বীপে জয়ন্তস্তসংস্থাপনপূৰ্ব্বক সৈই সামন্ত সমভিবাছারে গজময় সেতু দ্বার কপিশামী পার হইয়