পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৪২

পঞ্চম সৰ্গ । \リ。 পাঠসমাপন হইলে আমি গুৰুকে গুৰুদক্ষিণাগ্ৰহণার্থ উপরোধ করিলাম। তিমি প্রথমতঃ কছিলেন বৎস! তোমার অস্থলিত প্রগাঢ় ভক্তিতেই আমি সাতিশয় সন্তুষ্ট হইয়াছি, আর গুৰুদক্ষিগর আবশ্ব্যক মাই, সেই অসামান্ত ভক্তিই তোমার অসাধরণ বিছার নিষ্কৃয়রূপ হইল। আমি তথাপি নিতান্ত আগ্রহপূর্বক যৎকিঞ্চিৎ গ্রহণ করতে হুইবে বলিয় পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিতে লাগিলাম। ইহাতে বিপরীত ঘটিয়া উঠিল, তিনি আমার নির্ধমতাবিষয়ে কিছুমাত্র বিবেচনা মা করিয়া ক্রোধভরে আদেশ করলেন ; যাও, অামার নিকট চতুর্দশ বিস্তু শিক্ষা করিয়াছ, এই শিক্ষিত বিদ্যার সংখ্যামুসারে চতুর্দশ কোটি স্বর্ণমুদ্র আনয়ন কর। পরে আমি বিষম বিপদে পড়িয়া ভাবিলাম, স্বৰ্য্যবংশীয় মহারাজ রঘু ব্যতিরেকে অার কেহই এই প্রচুর অর্থ প্রদান করতে সমর্থ হইবেন না। এইরূপ ভাবিয়া চিন্তিয় অপমকার নিকট আসিয়ছিলাম। এ দিকে আপনি সৰ্ব্বস্ব বিতরণ করিয়া বসিরণছেন । গুৰুদক্ষিণার ধমও অপ নহে। কি করি, কি রূপেই ব৷ জানিয়া শুনিয় এই প্রভূত অর্থ প্রদান করিতে আপনাকে উপরোধ করি । সুতরাং আমার অন্ত বদহের নিকট গমন করাই শ্রেয়ঃকপ বোধ হইতেছে । মহর্ষি কোৎস্য এইরূপ বিজ্ঞাপন করিলে মহানুভাব স্থপতি তাছাকে পুনৰ্ব্বার নিবেদন করিলেন, ভগব ! আপনি আমার মিকটে অসিদ্ধকম হইয়া প্রতিনিরস্তু হইলে এই জগন্মগুলে আমার ঘোরতর অকীৰ্ত্তি ঘোষণা হইবে । লোকে বলিবে সৰ্ব্বশাস্ত্রপারদর্শী এক জন তপস্ত্রী রঘুর নিকট গুৰুদক্ষিণার ধনপ্রার্থনা করিতে অগসিয়া ভগ্নাংশ হইয় স্থানান্তরে গমন করিয়াছেন । ইহা অামার নিতান্ত অসহ । এরূপ জনপিবাদ রঘুবংশের আর কখনই ঘটে মাই ; সুতরাং ইহাকে অণমাদিগের নব পরিবাঁদ বলিতে হইবে, অতএব অনুগ্রহ করিয়া আপনাকে ছুই তিন দিবস প্রতীক্ষা করিতে হইবেক । অামি আপনকার শুকদক্ষিণুর ধমের নিমিত্ত যঃসাধ্য যত্ব করিতেছি । ঋষিবর হৃষ্ট চিত্তে তথাস্তু বলিয় রাজার প্রার্থনায় সম্মত হই