পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\: রঘুবংশ । লেন। রঘুও, পৃথিবীস্থ ভূপালগণ দিগ্বিজয়প্রসঙ্গে নিঃশ্ব হইয়ছেন ভাবিয়া কুবেরপুরী আক্রমণ করিতে ইচ্ছা করিলেন । অনস্তর রাজাধিরাজ রঘু কৈলাসমাথ কুবেরকে জয় করিতে যাইবেন বলিয়া সারথিকে রুথসজ্জা করিতে আদেশ দিলেন । সারধি অজ্ঞাপ্রাপ্তিমাত্র রথ সজ্জিত করিয়া আদিল । রাজ মহারণে গমন করিবেন বলিয়৷ পূৰ্ব্ব দিবস সায়ংকালে সংযত চিত্তে রথোপরি শয়ন করিয়া রছিলেন। ঐ রজনীতেই রঘুর ধনাগারমধ্যে রাশীকৃত স্বর্ণরটি হুইল । কোষাধ্যক্ষের প্রাতঃকালে কোষগৃহমধ্যে অকস্মাৎ স্বর্ণরাশি দেখিয় বিস্মিত ও চমৎকৃত হইল, এবং কৈলাসগমনে মুখ ভূপতিকে তৎক্ষণাৎ সংবাদ পাঠাইল। ভূপাল ঐ বিস্ময়কর ব্যাপার শুনিয়া মনে মনে ভাবিলেম কুবেরই আক্রমণভয়ে এই স্বর্ণরটি করিয়াছেন। তদনন্তর স্থপতি সেই সমস্ত স্বর্ণরাশি মহর্ষি কেংসকে সম্প্রদান করিলেন । কোঁৎস গুৰুদক্ষিণার অতিরিক্ত ধন গ্রহণ করিতে অসম্মত, কিন্তু রাজ সেই সমস্ত ধন তঁহকে গ্রহণ করাইতে সীতিশয় মভূবিশিষ্ট, এই কৌতুক বহু ব্যাপার দেখিয় অযোধ্যানিবাসী জনগণ দত্ত ও গ্রহীতা উভয়কেই অগণ্য ধন্যবাদ করিতে লাগিল। পরিশেষে অগত্য কেংসকে সেই সমস্ত স্বর্ণমুদ্রাই গ্রহণ করিতে হুইল । অনন্তর নরেশ্বরের উষ্ট্র বড়ব। প্রভৃতি শত শত বাহন দ্বার সেই ভাণ্ডুর স্বর্ণরাশি মহর্ষি বরতন্তুর অগ্রমে প্রেরণ করিলেন, এবং কোঁৎসের গমনকালে তাহকে ভক্তিভাবে প্ৰণিপাত করিলেন । তপোধন অভীষ্টলাভে সাতিশয় সন্তুষ্ট হইয় হস্ত দ্বার। নরপতির গাত্রম্পর্শপূর্বক কছিলেন, মহারাজ ! পৃথিবীই সদরক্ত ভূপালদিগের অভীষ্ট প্রদান করিয়া থাকেন, কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য ! আপনকার কি অদ্ভূত মহিমা ! স্বয়ং দেবভূমি স্বৰ্গও আপনার অভিলষিত সম্পাদন করিলেন । ইহাতে আমি য়ং পরোনাস্তি বিস্ময়াপন্ন হুইলাম। আপনাকে আর অধিক কি আশীর্বাদ করিব, যাছ আশীৰ্বাদ করিতে হয় সে সমুদায়ই আপনার আছে। অন্ত আশীৰ্বাদ করা কেবল পেনরক্তমাত্র । অতএব এই আশীৰ্বাদ করি আপনকার পিতা জাপ