পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সর্গ। রাজপুত্র গাত্রেথিন করির প্রাতঃকৃত্যাদি সমাপন করিলেন । পরে বেশবিদ্যাসনিপুণ রাজভৃত্যগণ উপস্থার স্বয়ং বরোচিত বেশভূষা করিয়া দিল । অঙ্গ সুসজ্জিত হইয় রাজসভায় গমন করিলেন । সভামধ্যে প্রবেশিয় দেখিলেন, অতিমনোহর মঞ্চ সকল সভার চারি দিকৃ উজ্জ্বল করিয়া রছিয়াছে। প্রত্যেক মঞ্চের ভিন্ন ভিন্ন সোপান এবং তাছার মধ্যভাগে মণিমুক্তপ্রবালাদি খচিত বিচিত্র আস্তরণপটে আচ্ছাদিত এক এক স্বর্ণময় সিংহাসন সন্নিবেশিত রছিয়াছে। তন্মধ্যে কতিপয় সিংহাসনের উপরিভাগে কতকগুলি উজ্জ্বলবেশধারী রাজপুত্র বসিয়াছেন ; দেখিলে বোধ হয়, যেন বিমানারেছিণে দেবগণ রাজসভায় অসিয়াছেন । বিদর্ভাধিপতি ভোজরাঞ্জ পরম সমাদরে সভাগত আঞ্জের স্থস্তধারণপূর্বক এক মঞ্চের নিকটে যাইয়া কছিলেন আপনি এই মঞ্চে আরোহণ কৰুম ! মহাবীর অঞ্জ, ভোজমির্দিষ্ট মঞ্চের সুনিশ্মিত সোপানপথ দ্বার। তাছাতে আরোহণ করিলেন । উত্থানকালে সন্নিহিত জনগণের মনে এই বোধ হইতে লাগিল যেন মৃগরাজশাবক শিলপরম্পরায় পদার্পণ করিয়৷ পৰ্ব্বতের শিখরদেশে আরোহণ করিতেছ। পরে স্বপনন্দন বিচিত্র স্বর্ণময় মণিপীঠে আরূঢ় হইয়া ময়ুরপৃষ্ঠোপবিষ্ট পাৰ্ব্বতীনন্দনের ন্যায় সাতিশয় শোভমান হইলেন । সেই পরম সুন্দর যুব মিজ সৌন্দৰ্য্যগুণে অন্যান্য স্বপগণকে , পরাভব করিলে । সভাস্থ জনগণ কুমীরের লোকতীত লাবণ্য দর্শনে চমৎকৃত হইয় অনন্যমলে