পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঘুবংশ । سyوا উছার দিকে এক দৃষ্টে চাছিয় রছিল। তৎকালে তাহাদিগের মনে উদয় হইতে লাগিল, বুঝি পতিবিয়োগছুঃখিনী কন্দৰ্পকামিনীর কাতর বচমে প্রসন্ন হুইয়া ভগবান আশুতোষ কৰুণাপূৰ্ব্বক অমঙ্গকে অঙ্গদান করিয়াছেন, নতুবা এরূপ দেবদুর্লভ রূপ মরলোকে ছওয়া নিতান্ত । অসম্ভব । প্রিয়দর্শন কুমারের সৌন্দর্য দর্শনে স্থপগণের মন স্ত্রীরত্বলাভবিষয়ে একান্ত হতাশ হুইল । একে একে সমস্ত ভূপতি রাজসভায় আগমন করিলে, বন্দিগণ সোম ও স্বৰ্য্যবংশীয় স্থপদিগের কুলপরিচয় প্রদান করিতে অগ্রস্তু করিল, অগুৰুৰূপে চারি দিক আমোদিত এবং মাঙ্গলিক শঙ্খতুৰ্য্যাদির সুমধুর রবে দিজুগুল পরিপূর্ণ হইল। ইত্যবসরে বিদর্ভরাজকুছিত। ইন্দুমতী বিবাছোচিত বেশভূষা করিয়া পরিজনবেষ্টিত মহাপালে আরোহণপূর্বক সভামণ্ডপে সমাগমন করিলেন । পরে সেই অসামান্তরূপলাবণ্যবতী যুবতীর লোভনীয় যৌবনমাধুরী সন্দর্শন করিয়া স্বয়ংবরস্থ সমস্ত ভূপতিগণ বিস্ময়বিস্ফারিত, নিমেষশূন্ত, একতান নয়নে স্তম্ভিত, চিত্রাপিত বা উৎকীর্ণের ন্যায় চাছিয়া রছিলেন । র্তাহীদের শরীরমাত্র সিংহাসনে অবশিষ্ট রহিল, মনোনেত্রীদি সমস্ত ইন্দ্রিয়গণ ইন্দুমতীর লাবণ্যসাগরে মগ্ন হুইল । পরে কিসে সেই অসামান্যরূপমিধান কন্যানিধান লাভ করিবেন বলিয়৷ সকলেই নিতান্ত উৎসুক হইলেন। বসন ভূষণাদির অযখণস্থানসন্নিবেশজন্য পাছে ইন্দুমতীর ৰচিভঙ্গ হয়, এই ভাবিয়া কেছ স্রস্ত বস্ত্র যথাস্থানে সন্নিবেশিত করিতে লাগিলেন ; কেছ ব! কিরীটে করার্পণ করিয়া তাছার সন্নিবেশপরীক্ষা করিতে লাগিলেম । কতিপয় রাজকুমার কুমারীর নিকট স্বীয় প্রভিপ্রায় প্রকাশ করণর্থে বহুবিধ বিলাস প্রদর্শন করিতে আরম্ভ করিলেন । ইন্দুমুতীর সমভিব্যান্ধীরে সুন্দামান্ত্রী এক প্রতিহারী ছিল । সে সমস্ত স্থপগণের কুল ও আচার ব্যবস্থার জনিত । কুমন্দ। ইন্দুমতীকে সৰ্ব্বাগ্রে মগধাধিপতির নিকট লইয়া গিয়া পুৰুষবৎ প্ৰগল্‌ভ বচনে কছিতে লাগিল। মগধদেশে পুষ্পপুর নামে এক