পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& রঘুবংশ } ভtছার পর সুমন্দ সেই সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরী রাজকুমারীকে অবস্তিরাজের নিকট লইয়া গিয়া করিতে লাগিল, রাজমন্দিমি ! এক বার চাহিয়া দেখ, এই স্বভাবসুন্দর নরবর মণিমাণিক্যাদি অণভরণের প্রভায় যেন জাজ্বল্যমান স্থৰ্যমগুলের স্বায় দীপ্তি পাইতেছেন । আহা ! কি চমৎকার রূপমধুরী, কি আজানুলম্বিত বাহুযুগল, কি বিশাল বক্ষঃস্থল, কি মনোহর বেশ, কি ক্ষীণ কটিদেশ ; মনে হয় যেন কোন দেবতা তোমার তাশায় গুপ্ত বেশে রাজসভায় অসিয়াছেন । এই মহাবল পরাক্রাস্ত ভূপালের আক্রমণমাত্রে সমস্ত সামন্তমগুল ত্রস্ত হইয়। চরণে শরণাগত হয় । এই রাজার রাজধানীতে মহাকাল নামে এক সুপ্রসিদ্ধ পীঠস্থান আছে। তথায় ভগবান্‌ ধূর্জটি প্রতিষ্ঠিত আছেন। রাজগৃহ মহাকালের অনতিদূরবর্তী। মহারাজ অবন্তিনাথ প্রিয়াগণের সহিত চুরম্য হর্ম্যোপরি আরোহণ করিয়া শশিমৌলির শিরঃস্থিত শশিকলার সন্নিধান প্রযুক্ত কৃষ্ণপক্ষীয় রজনীতেও কৌমুদীমহোৎসব অনুভব করিয়৷ থাকেন। হে মৃগীক্ষি ! যদি তুমি এই যুবার সহধৰ্ম্মিণী হও, তবে শিপ্রানদীর তীরবর্তী রমণীয় উদ্যামপরম্পরায় প্রিয়তমের সহিত বিছার করিয়া যৌবমঐ চরিতার্থ করিতে পরিবে । যেমন কুমুদিনী দিনমণির প্রতি অনুরক্ত নছে, সেইরূপ ইন্দুমতীও সেই ভূপতির প্রতি অনুরক্ত হইলেন না। অতঃপর সুনন্দ সেই স্মলোচনাকে আর এক ভূপালের পুরেবর্ভিনী করিয়া বাগজলবিস্তার পূর্বক কহিতে লাগিল। শুনিয়। থাকিবে, পূৰ্ব্বকালে কীৰ্ত্তবীর্ষ নামে এক সুপ্রসিদ্ধ রাজর্ষি ছিলেন । তাহার দ্বিভূজ মূৰ্ত্তি দেবদত্তবরপ্রসাদে সংগ্রামসময়ে সহস্রভুজ ছইত ; তিনি বাহুবলে অষ্টদশ দ্বীপ অধিকার করিয়া প্রত্যেক দ্বীপে জয়নিদর্শনস্বরূপ অসংখ্য ঘূপস্তম্ভ সংস্থাপন করিয়াছিলেন ; তিনি যোগবলে প্রজাদিগের অসৎ সঙ্কপ অবগত হইয়৷ তদণ্ডে জগুবিধানার্থ করে কোদণ্ডধারণপূর্বক পুরোভাগে উপস্থিত হইতেন। মহাবীর কাওঁবীৰ্য্যের পরাক্রমের কথা অধিক কি বলিব,