পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

数总 রঘুবংশ । ছুঃখিত হইলেন । তিনি বহুভর বিলাপ ও পরিতাপ করিয়া যৎকিঞ্চিৎ শোক সংবরণপূর্বক যতিগণের সহিত উপস্থার অন্ত্যেষ্টিক্রিয় সমাধা করিসেন । অঞ্জ জানিতেন তাদৃশ ব্যক্তির শ্রাদ্ধতপণাদি করিবার অবশুকত। নই, তথাপি বলবতী পিতৃভক্তি প্রযুক্ত যথাবিধি শ্রাদ্ধাদি করিলেন। পরে বিচক্ষণ পণ্ডিতগণ রাজাকে পিতৃশোকে একান্ত কাতর দেখিয় “ তাদৃশ সদগতিসম্পন্ন ব্যক্তির প্রভি শোক করা অতিশয় অবিধেয়” এই বলিয়। উছার শোকপনোদন করিতে আরম্ভ করিলেন। অজ পণ্ডিতমণ্ডলীর উপদেশানুসারে ক্ৰেমে ক্রমে শোকসংবরণ করিয়া অপ্রতিস্থত প্রভাবে রাজকাৰ্য্য পর্ষ্যণলোচনা করিতে লাগিলেন। কিছু দিন পরে উহার এক পুত্র সস্তান হইল । পুত্রের নাম দশরথ রাখিলেন । তাজ এই রূপে সৰ্ব্ব সৌভাগ্যের আম্পদ হইয় সুচাৰু রূপে রাজ্যশাসন করিতে লাগিলেন। উছার যে অর্থরাশি ছিল, সে কেবল পরের উপকারার্থ ; উীহার ষে সৈন্ত সমস্ত ছিল, সে কেবল বিপন্ন ব্যক্তির পরিত্রাণার্থ ; উাস্থার যে প্রচুর শাস্ত্রজ্ঞান ছিল, সে কেৰল পণ্ডিতগণের সংকারার্থ। একদা মহারাজ অজ পৌরকার্য পর্যবেক্ষণানন্তর উদ্যামবিছারার্থ নিতান্ত উৎসুক হুইয়া প্রিয়তমা ইন্দুমতীর সস্থিত মগরোপবনে গমন করিলেম । যুবক যুবতী শচীসছিত শচীপতির ন্যায় উদ্যানবিহার করিতেছেন, ইত্যবসরে আকাশমার্গে দেবর্ষি মারদ করে বীণা লইয়া গমন করিতেছিলেন । তদীয় বীণাগ্রবন্ধ দিব্য কুকুমমাল৷ বায়ুবেগে আকৃষ্ট হইয়া পরিভ্রষ্ট হইল। কিন্তু দৈবযোগে সেই পুষ্পমাল ইন্দুমতীর বিশাল স্তনযুগলে পতিত হইল। ইন্দুমতী সেই দিব্য মাল৷ অবলোকন করিবামত্র এক বারেই বিচেতন হইলেন, এবং তৎক্ষণাৎ মুদ্রিত ময়নে ভূতলে পড়িলেন । যেমন প্রদীপ্ত দীপশিখ হইতে এক বিন্দু তৈল পাত হইলে তাহার সহিত শিখারও কিয়দংশ পতিত হইয় থাকে, সেইরূপ ভূপালও মূচ্ছিত ছইয়া ইন্দুমতীর সঙ্গে সঙ্গেই ভূতলে পড়িলেম । রাজা ও রাজীর শার্শ্বচরের হাছাকার রিয়া উঠিল। উহাদিগের জার্তৱৰ প্রবণে