পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अशेग जर्श । ξ α উৰেজিত উষ্ঠানস্থ বিহঙ্গমেরাও যেন দুঃখিত ছইয়াই কোলাহল করিতে লাগিল । অনন্তর ব্যঞ্জনাদি দ্বারা রঞ্জার কথঞ্চিৎ মুচ্ছ ভঙ্গ হইল, কিন্তু ইন্দুমতী তদবস্থই রছিলেন, উপস্থার মূৰ্চ্ছাভঙ্গ হইবে কি, পরমায়ু না থাকিলে কি প্রতিকারবিধান ফলবাম্ব হইতে পারে ? পরে রাজ্ঞীর মৃত দেহ প্রতিসার্ষ্যমাণ বীণার স্থায় ক্রেড়ে রাখিয়া ভূপতির হ্রই চক্ষে জলধারা বস্থিতে লাগিল। উছার ক্রোড়ে ইন্দুমতীর বিবর্ণ শরীর সংস্থাপিত হওয়াতে ভূপাল যেন সকলঙ্ক শশাঙ্কের স্থায় পরিদৃখ্যমান হইলেন। অনন্তর নরবর শোকাবেগে নৈসর্গিক ধৈর্ষ পরিত্যাগ পূৰ্ব্বক উন্মত্তপ্রায় হুইয়া বাষ্পগদগদ স্বরে বিলাপ করিতে আরম্ভ করিলেন । তাদৃশ গৰ্ত্তীর প্রকৃতি ব্যক্তির ঈদৃশ অবস্থায় ধৈর্য্যলোপ হওয়া নিতান্ত অসম্ভব নছে ; রক্তমাংসময় মানুষের কথা কি বলিৰ, ' অতিশয় অভিতগু হইলে দৃঢ়তর লৌহও গলিয়া যায়। রাজা সেই পুষ্পমালার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া কৰুণ বচনে কছিতে লাগিলেম স্থায় ! যদি সুকোমল পুষ্পমালাও গণত্র স্পর্শ করিয়া প্রিয়ার প্রাণবধ করিল, তবে জীবনজিহীধু বিধাতার কোন বস্তুই ন জীবিভয় অস্ত্র ছইতে পারে, অথবা সংস্থারকত্ব কৃতান্ত বুঝি সুকুমার বস্তু দ্বারাই সুকুমার বস্তু বিনাশ করিয়া থাকেন, ছিমপাতে বিনষ্ট কমলিনীই এ বিষয়ে প্রত্যক্ষ নিদর্শন। ভাল, যদি এই কুসুমমালাই প্রাণসংছারক, কৈ তবে অামার হৃদয়ে নিহিত হুইয়া এখম পৰ্যন্ত অামার প্রাণবিনাশ করিলেক না । হায়! বুঝিলাম বিধাতার ইচ্ছায় কোন স্থলে বিষও অমৃত হইতে পারে ; কোথাও বা অমৃতও বিষ হইয়া উঠে । কিংবা এমনও হইবার সম্ভাবন যে, বিধাতা আমারই ছুরস্কৃষ্টক্রমে এই সুকুমার পুষ্পমালাকে ৰজরূপিণী করিয়াছেন । আজ এইরূপ মামপ্রকার বিতর্ক করিয়া পরিশেষে শোকে নিতম্ভ অধীর হুইয়া দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ পূর্বক বাষ্পাকুল নয়মে গদাঙ্ক বচনে কহিতে লাগিলেন ছা হরিণময়নে ! ই মধুরবচনে । তোমাঙ্ক