পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* রঘুবংশ । আদর্শনে আমি দশ দিক্‌ শূন্ত দেখিতেছি । তোমাকে মনে করিয়া আমার হৃদয় বিদীর্ণ ছইয়া যাইতেছে। প্রিয়ে! উঠ উঠ, এক বীর প্রিয় সস্তাষণ করির প্রণয়ি জনের প্রাণ রক্ষ কর । আমি তোমার কাছে কত শত অপরাধ করিতাম, তথাপি তুমি এক দিন ভ্রান্তিক্রমেও আমার লুপমান কর নাই, এক্ষণে কি অপরাধে নির্দয় হইয় আমার সস্থিত কথা বাৰ্ত্ত কছিতেছ না। আমার নিশ্চয় বোধ হইতেছে, ভূমি আমাকে গৃঢ়বিপ্রিয়কারী কৈতবাচারী বিবেচনা করিয়াছ, নতুৰ অামাকে ম৷ বলিয়া মা কছিয়া অপুনরাগমনের মিমিত্ত কখনই পরলোকে গমন করিতে না । রে স্থত জীবিত ! যদি মূৰ্চ্ছাকালে প্রিয়তমার অনুগামী হইয়াছিলি, তবে কেন তাছাকে না লইয়া পুনরাগমন করিলি ; এক্ষণে অপেন দোষে আপনি দগ্ধ হইতেছিল; এই বলবতী বিরহবেদন তোকে চির দিন সছ করিতে হুইবে ; আর কোন উপায়াস্তুর নাই। হা প্রিয়ে ! ছ। অসামান্যরূপলাবণ্যবতি ! তোমার বদনকমলে বিহারজনিত ঘৰ্ম্মবিদ অধুনাপি বর্তমান রছিয়াছে, কিন্তু ভূমি অমিয় পরিত্যাগ করিয়৷ কোথায় গেলে । হায়! মানুষের এরূপ অসারতাকে ধিক্ । ছা প্রেরসি! আমি কখন মনেতেও তোমার অপ্রিয় কৰ্ম্ম করি মাই, তৰে কেন আমাকে পরিত্যাগ করিলে । তামার নামমাত্র ক্ষিতিপতি, ফলতঃ আমি ক্ষিতিপতি নছি, তোমারই পতি ; তোমতেই আমার অকপটপ্রণয়পৰিত্ৰ অনুরাগ বন্ধমূল রন্থিয়াছে। তোমার এই কুসুমামুবিন্ধ অঙ্গকাবলী বায়ুবেগে সঞ্চালিত দেখিয়া আমার মনে হইতেছে বুৰি ভূমি আমার দুঃসহ যন্ত্রণ সন্দর্শনে অনুকম্প করিয়া পুনরাগমন করিলে। ছে জীবিতেশ্বরি! আমার প্রাণ যায় এক বার দর্শন দিয়া প্রাণরক্ষা কর । যেমন রজনীতে ওষধি সকল প্রজ্বলিত ছইয়া ছিমগিরির গহবরস্থ তিমিরসংস্থতি সংহার করে, সেইরূপ প্রতিবোধ স্বারা গামার মোছান্ধকার নিরন্ত কর । আমি তোমার মুখারবিন্দে ক্ষুধার্জ কথা মা শুনিয়া অার এক দণ্ডও প্রাণধারণ কুরিতে পারি ল ।