পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

等碑 রঘুবংশ । স্থায়ী মছে। জন্ম হইলেই মৃত্যু আছে। সম্প্রতি পৃথিবী পরিপন পন কৰুন । ক্ষিতিই ক্ষিতিপতিদিগের কলড্রস্থানীয় । আর তাপমিও ত অজ্ঞান নছেন । অণপমি যে , অধ্যাত্মশাস্ত্রের প্রভাবে এই অতুলৈশ্বৰ্য্যরূপ মদকরণ থাকিতেও স্বীয় অমৰ্ত্তত প্রকাশ করিয়াছেন, সেই জ্ঞানজ্যোতিঃ দ্বার হৃদরের অজ্ঞানতিমির দূরীকৃত কৰুম ! রোদন করিলে যদি পাইবার সম্ভাবম থাকিত তবে মা ছয় রোদনই করিভেন ; রোদনের কথা দূরে থাকুক, অনুমৃত হইলেও তাহাকে আর পাইবেন মা ; যেহেতু লোকান্তরগামী জন্তুগণ স্ব স্ব অদৃষ্টানুসারে ভিন্ন ভিন্ন পথ অবলম্বন করিয়া থাকে। অতএব ছে মহানুভব মহারাজ ! শোকসংবরণ কৰুম ! ধৰ্ম্মশাস্ত্রে কথিত অাছে, মৃত ব্যক্তির উদ্দেশে যত রোদন করে ততই তাছার পরলোকে কষ্ট হইতে থাকে। দেহধারণ করিলেই মরণ অাছে, বরঞ্চ বেঁচে থাক আশ্চৰ্য্য বটে । জন্তুগণ এই ক্ষণভঙ্গুর সংসারে জন্মগ্রহণ করিয়া যদি কিছু দিন আমোদ প্রমোদে কাটাইতে পারে সেই তাছাদিগের যথেষ্ট লাভ । মহারাজ ! শোকে এরূপ অভিভূত হওয়া অপমকার উচিত নহে। দেখুন, সৎ পুৰুষের কদাচ শোকের বশীভূত হুয়েন না ; প্রাকৃত লোকেরাই শোকে বিচেতন হইয় থাকে। আপনি অতিগন্ত্রীরস্বভাব। ধৈর্ম্য অবলম্বন করিয়া শোকাবেগ সংবরণ কৰুম ; মূঢ়েরাই প্রিয়নাশকে হৃদরের শল্যস্বরূপ বোধ করিয়া থাকে, কিন্তু বিচক্ষণ পণ্ডিতগণের পক্ষে এই অকিঞ্চিৎকর সংসার কেবল ক্লেশকরুমাত্র। তাছার ইষ্টমাশ হুইলে শোকের কথা দূরে থাকুক, বরঞ্চ হৃদয়ের শলোদ্ধার হুইল এই বিবেচনাই করিয়া থাকেন, যেহেতু এই অসার সংসারে আসিয়া সার বস্তু ব্রস্কোপাসনায় মনোনিবেশ করিতে অবকাশ পান। মাছ বলুন দেখি, এই অপম দেহ ও জীবন ইহাৱাই কি চিরস্থায়ী হইৰে? যখন এই পরমপ্রেমাম্পদ আত্নীয় শরীর ও জীবাত্মারও পরম্পর সংযোগ বিয়োগ লক্ষ্য হইতেছে, তথম বাহ বিষয় পুল্পকলত্রাদির নিমিত্ত শ্লেক করা কেবল জাস্তিমাত্র , অতএব