পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম সর্গ। । রাজা দশরথ পিতার পরলোকাস্তে রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হুইয়া স্কুলক্রমাগত উত্তরকৌশলরাজ্য বিধিবৎ পালন করিতে অগ্রস্ত করিলেন । উাছার স্বশাসনপ্রভাবে প্রজাগণ নিতান্ত অনুরক্ত হইয়া উঠিল। তদীয় অধিকার মধ্যে রোগ অবকাশ পাইত মা ; দস্থ্য তস্বরাদির উপদ্রব ছিল না ; শত্ৰুকুত পরাভবের কথামাত্রও শুম! যাইত না ; ইন্দ্র যথাকালে বারিবর্ষণ করিতেন ; এবং শ্রমোপজীবী লোকের পরিশ্রমানুরূপ পুরস্কার পাইত। পৃথিবী দিগ্বিজয়ী রঘুকে পতি লাভ করিয়া যাদৃশ সৌভাগ্যবতী হইয়াছিল, অনন্তর আজ রাজার হস্তগত হইরা তাদৃশ সৌভাগ্য অনুভব করিয়াছিলেন, সম্প্রতি অস্থানপরীক্রম দশরথের হস্তগামিনী হুইয়াও র্তাহার সেই সৌভগ্যসম্পদের কিছুমাত্র ছানি হইল না । মহারাজ দশরথ ধনে কুবেরসম, শাসনে বৰুণসম, অপক্ষপাতিতায় কৃতাস্তুসম এবং প্রতাপে স্বৰ্য্যসম ছিলেম। মৃগয়া, দুরোদর, মধুপান প্রভৃতি ব্যসমগণ সেই অভু্যদয়োৎসাহী রাজর্ষির ত্রিসীমায়ও আসিতে পারিত না । তিনি ইন্দ্রের কাছেও কৃপণ বাক্য প্রয়োগ করিতেন না ; পরিহাসপ্রসঙ্গেও মিথ্যা কথা কছিতেন না ; শক্রকেও কটু বাক্য বলিতেন না ; এবং অকারণে অণুমাত্রও কোপ করিতেন না । তিনি শরণাগত ব্যক্তির পরম মিত্র, উদ্ধত জনের প্রচণ্ড শক্ত ছিলেন। রাজাধিরাজ দশরথ একদা দিগ্বিজয়ে যাত্রা করিয়া একাকী সমস্ত শক্রমণ্ডল পরাজয় করিয়াছিলেম । চতুরদিণী সেনা কেবল উছার জয়ঘোষণামাত্র করিয়াছিল। তৎকালে বিপক্ষ ভূপালগণ পরাজিত