পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম সর্গ । &S) ছইর শিরেীরত্বকিরণে তদীয় চরণযুগল অমুরঞ্জিত করিল এবং হতভৰ্তৃক শত্রুপত্নীর অনুগ্রহপ্রার্থনায় অমাত্যমুখ দ্বারা ভাছাকে স্তব স্তুতি করিল। তিনি পরিশেষে কৰুণ প্রকাশ পূৰ্ব্বক শরণাগত শত্ৰুগণকে পুনৰ্ব্বার স্বপদে প্রতিষ্ঠিত করিয়া ত্ৰিদশনারীসম মিঞ্জ নগরীতে প্রত্যাগমন করিলেন । মহারাজ দশরথ দিগ্বিজয়ব্যাপার পরিসমাপমনস্তর -সসাগর ধরায় একাধিপত্য লাভ করিয়াও কমলাকে চঞ্চল জানিয়া সৰ্ব্বদাই জাগরক থাকিতেন। অনন্তর স্বপবর কোশলাধিপছুস্থিত কৌশল্য, কেকয়বংশজ কৈকেয়ী, এবং মগধরাজপুত্রী সুমিত্রীর পাণিগ্রহণ করিলেন । রাজ প্রিয়তমাত্রয়ের প্রণয়ভাজন হইরা যৌবনস্থখ চারতাৰ্থ করিতেন এবং অতি সতর্কত পূৰ্ব্বক রাজকাৰ্য্যও পর্যালোচনা করিতেন । তিনি মধ্যে মধ্যে দানবযুদ্ধে দেবরাজের সহায়তা করিয়া হরপুরেও কীর্তিবিস্তার করিয়াছিলেন। সেই সেই যাগশীল রাজর্ষির স্বর্ণময় ঘূপকলাপে তমসা ও সরযূ নদীর তীরদেশ উদ্ভাসিত হুইয়াছিল এবং শস্ত্রপ্রভাবে ভুর্জর দৈত্যগণ হুতপ্রায় হইয়াছিল। অনন্তর সেই দিকৃপালসম ভূপালকে নব কুসুম দ্বারা সেবা করিতেই বুঝি বসন্ত ঋতু উপস্থিত হইল । অাদে কুসুমোদ্ভব, অনন্তর নব পল্লব, পশ্চাৎ ভ্রমরঝঙ্কার, পরিশেষে কোকিলকলরব এই ক্রমে ঋতুরাজ বসন্ত প্রথমতঃ বনভূমিতে অবির্ভূত হইলেন। দিনকর মলয়গিরি পরিত্যাগ পূর্বক ক্রমে ক্রমে উত্তরাভিমুখে চলিলেন ; প্রাতঃকালে আর কুজ্জটিকাবরণ রছিল না, ছিমনাশে দিনমুখ বিমল হইয়| উঠিল মধুকরগণ মকরন্দপানাশয়ে কমলাকর সরোবরে ধাবমান হইল ; ছংস কারগুবদি জলচর পক্ষিগণ পঙ্কজবনে কলরব করিয়৷ কেলি করিতে অগ্রস্ত করিল ; অশোক তৰুর কি পুষ্প, কি নব পল্পৰ, উভয়ই সীতিশয় শোভমান হুইয়া উঠিল ; মধুকরগণ মধুগন্ধে অন্ধ হইয় গুন গুণ রবে অশোক, চম্পক, কিংশুক, কুৰুবক, বকুল প্রভৃতি কুসুমিত বৃক্ষজাল আকুল করিতে লাগিল; কাননে প্রজ্বলিত হুতাশনাকার কর্মকার কুয়ম প্রস্ফুটিত হইল ; রজনী দিন