পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৭৭

$ $ . রঘুবংশ । লেন । কোথাও বা প্রকাও শাদু ল সকল প্রফুল্প অসমবিটপীর বায়ুভগ্ন অগ্রশাখার স্থায় গুছা হইতে রাজার সম্মুখে লক্ষ প্রদাম করিতে লাগিল, রাজা শিক্ষাকৌশলে ক্ষণকালমধ্যে শত শত বাণ নিক্ষেপ করিয়া তাহাদিগের মুখবিবর শরপূরিত তৃণীরমুখের ন্যায় শোভমান করিলেন । পরিশেষে ভূপাল অশ্বকে পরিতঃ প্রধাবিত করিয়া চমল্লযুগের চামরাকার লাঙ্গুলমাত্র ছেদ করিয়া সদ্যঃ শান্তিअङ रुष्ट्रिक्वेलन ! রাজা দশরথ এই রূপে অস্থর্নিশি মুগরা বছর করিয়া সমুদায় কর্তব্য কৰ্ম্ম বিস্মরণপূর্বক তাছাতেই অতিমাত্র অনুরক্ত হইয় উঠিলেন। তিনি প্রগাঢ় পৰ্যটমে ঘৰ্ম্মাক্ত ছাইলে সুশীতলবনবায়ুসেবনে শ্রান্তি দূর করিতেন ; শয়নকাল উপস্থিত হইলে যে কোন স্থানে পল্লবময়ী শয্যায় শয়ন করিয় রজনী যাপন করিডেম ; এবং প্রভাতকালে পটুপটহ বাস্তানুকারী করিকর্ণতাল ও বৈতালিকগীত মুকারী বিহঙ্গমকলরব শ্রবণ করিতে করিতে সুখে শয্য হইতে গাত্রোথনি করিতেন । একদা ভূপাল প্রাতঃকৃত্যাদি সমাপন করিয়া অশ্বারোহণপূর্বক মৃগের অনুসরণক্ৰমে মহানদী তমসার উপকূলে উপস্থিত হইলেন। দৈবগত্য এক ঋষিকুমার জলছরণার্থ তমসার অসিয়া বেতসলভন্তেরালে কলসে জলপূরণ করিতেছিলেন । রাজা কুন্তু পূরণোদ্ভব শব্দ শ্রবণ করিয়া মনে মমে বিবেচনা করিলেন, বুঝি কোন বনগঞ্জ সলিলাবগাহনপূৰ্ব্বক শব্দ করিতেছে। অনন্তর ভূপাল " বনকরী স্থপতির অবধ্য” এই রাজনীতির অভিজ্ঞ হুইয়াও তাছার প্রতি শব্দানুপাতী এক বাণ নিক্ষেপ করিলেন। বাণ তৎক্ষণাৎ শব্দামুসারে যাইয় মুমিপুত্রের হৃদয়দেশে বিদ্ধ হইল। ঋষিকুমার হ৷ তাত ! ছা মাতৃ! বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে রোদন করিয়া উঠিলেন। রাজ সসন্ত্রম মনে ইতস্ততঃ অন্বেষণ করিতে করিতে দেখিলেম, এক তাপসওমর বেতসবনের অন্তরালে কুস্তে জলপূরণ করিতেছিলেন, পরিত্যক্ত শর উtছর হৃদয় বিদীর্ণ করিয়াছে। দেখিয় যৎপরে