পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সৰ্গ । 월》 মনে আপনকার আরাধন করেন, আপনিও কৃপা করিয়া অশেষক্লেশকর সংসারবন্ধন হইতে র্তাছাদিগকে অচিরাৎ নিস্তার করিয়া থাকেন। আপনকার স্বস্ট এই পৃথিবী, জল, বায়ু, বছি প্রভৃতি স্কুল পদার্থ সকল ; যাছা আমরা সৰ্ব্বদা প্রত্যক্ষ করিয়া থাকি ; যখন ইহুদিথেরই ইয়ত্ত করিতে পার! যায় না ; তখন যে ইন্দ্রিয়|তীত ভবদীয় স্বরূপ নিৰ্দ্ধারণ করিব ইছ অতি অসম্ভব । আপনকার অপরিসীম মহিম ও অনন্ত গুণ চিরজীবন বর্ণন করিলেও নিঃশেষিত হয় না ; রত্নাকরের রত্ন ও দিনকরের কিরণ কে গণিয়া শেষ করিতে পারে । তবে যে লোকে আপনাকে কিয়ৎ ক্ষণ স্তব করিয়া বিরত হয়, সে কেবল শ্রম বা অশক্তিপ্রযুক্ত, নতুৰ গুণরাশির অবধি লাভ হুইল তজন্ত মহে । দেবতার। এই রূপে নানাপ্রকার স্তব করিয়া ভগবানকে প্রসন্ন করিলেন । পরে তিনি প্রীত মনে তাছাদিগকে সম্বোধিয়া কুশলবাৰ্ত্ত জিজ্ঞাস করিলেন । তাছার হ্রদান্ত রাবণের উপদ্রবরভান্ত অক্টোপাস্ত পরিচয় দিলেন । তখন ভগৰাল চক্রপাণি জলধরগভীর স্বরে কহিতে লাগিলেন, সেই দুরাত্ম যে তোমাদিগকে অপদস্থ ও উৎপীড়ন করিতেছে, এবং তাছার অত্যাচারে যে আমার ত্ৰিভুবন দগ্ধ ও জর্জরিত ছইতেছে, তাহার কিছুই আমার অবিদিত নহে। এ বিষয়ে আমার নিকট দেবরাজের কোন অভ্যর্থনা করিবার অবিশ্বকতা নাই, বায়ু আপনিই বহ্নির সাহায্য করিয়া থাকে। দুরাজু। }বণ উগ্র তপস্যায় প্রজাপতিকে প্রীত করিয়া তদীয়বরপ্রসাদে দেবগণের অবধ্য হইয়াছে। অামি বিধাতার অনুরোধে এত দিন তাহার ঘোরতর অত্যাচার সহ করিয়াছি । সম্প্রতি স্বৰ্য্যবংশাবতংশ রাজা দশরথের পুত্ররূপে অবতীর্ণ হুইয়া মানুষকলেবরধারণপুৰ্ব্বক অচিরাৎ সেই পাপিষ্ঠকে সমরশায়ী করিব । সে, অপশুতোষের অtয়াধমার্থ স্বকীয়শিরঃপরম্পরাচ্ছেদনকালে বুঝি আমার চক্রের লভ্যাংশ বলিয়া দশম মস্তকটি অবশিষ্ট রাধিত । যাও, তোমাদিগের- অার ভয় নাই। তোমরা অবিলম্বে পূৰ্ব্ববৎ যজ্ঞভাগ লাভ করিতে পারৰে ।