পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৮৩

৭২ রঘুবংশ । বিমানচারদিগের আকাশমার্গে রাবণকে দেখিয়। আর মেঘ স্তরালে অন্তস্থিত হইতে হইবে না । তোমরা সুরবন্দীগণের অদূষিত বেণীবন্ধ সকল অতত্ত্বরায় মুক্ত করিতে পরিবে। ভগবান চক্রপাণি বচন|মৃতবর্ষণে রাবণোপত্রুত দেবগণকে এই রূপে অtশ্বাস প্রদান করিয়া অন্তছিত হুইলেন। দেবকীৰ্য্যোপ্তত ইন্দ্রাদি দেবতারা ও তদ:রসাছ,যার্থ বানররূপে জন্মগ্রহণ করিবার মানসে তাপম তাপন অংশ প্রেরণ করিলেন । এ দিকে রাজা দশরথের পুত্রেষ্টি যজ্ঞ সমাপন হইল। যজ্ঞসমপমানন্তর এক দিব্য পুৰুষ স্বর্ণপাত্রস্থ পরশচৰু হুস্তে করিয় অকস্মাৎ ছোমায়ি হইতে অবিভূতি হইলেন। দেখিয়া সকলে বিস্ময়াপন্ন ছইয়। রছিল । দিব্য পুৰুষ রাজার গুণস্থতি করিয়৷ তদীয় হস্তে চৰু সমর্পণপূর্বক কছিলেন, এই চৰু ভক্ষণ করিলেই রাজমহিষীগণের গর্ভসঞ্চার হুইবে । রাজা দেবদত্ত চৰু দুই ভাগে বিভক্ত করিয়া প্রধানমছিৰী কৌশল এবং প্রিয়তম। কৈকেয়ীকে এক এক অংশ দিলেন । তঁহার প্রিয় পতির মনোরথ বুঝিয় এবং সুমিত্র। র্তাহদিগের উভয়েরই প্রণয়ভাজন ছিলেন এই বলিয়, সুমিত্রীকে অপেন আপন অংশের অৰ্দ্ধ ভাগ প্রদান করিলেন । এই রূ:প অংশ করির তিন জনেই চৰু ভক্ষণ করিলেন । কিয়দিন পরে রাজীদিগের গর্ভসঞ্চার হুইল । তাছার ক্রমে ক্রমে পাণ্ডুবর্ণ ও গৰ্ভিত ধান্তস্তম্বের স্থায় শোভমান হইতে লাগিলেন। এক নারায়ণ চারি অংশে বিভক্ত হইয়। তিন রাজপত্নীর গর্তে অবিভূত হইলেন। রাজ্ঞীর স্বপ্নবস্থায়, দেখিতেন যেন শঙ্খচক্ৰগদাপদ্মধারী চতুভূজ খৰ্ব্বাকৃতি দিব্য পুৰুষের র্তাহাদিগকে রক্ষা করিতেছেন ; গৰুড় স্বর্ণবর্ণ পক্ষজাল বিস্তার করিয়া অস্তুরীক্ষে উাছদিগ্নকে বছন করিতেছেন ; কৌস্তুভধারিণী কমলা হন্তে কমল ধারণ করিয়া কতই উপাসনা করিতেছেন ; এবং সপ্তর্ষিগণ মন্দাকিনীতে স্নান করিয়া বেদগানপূর্বক উtছাদিগকে স্তব স্তুত করিতেছেন । রাজা মছিৰীগণের নিকট এইরূপ স্বপ্নবাৰ্ত্ত শ্রবণ