পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম সর্গ । १७ করিয়া জগৎপিতার পিতা হইলেন ভাবিয়া মনে মনে আপনাকে চরিতার্থ বোধ করিলেন । অনন্তর সম্পূর্ণ দশম মাসে প্রধামরাজমছৰী কৌশল্য শুভ লয়ে শুভ ক্ষণে এক পুত্রসন্তান প্রসব করিলেন। কুমারের রূপে স্থতিকাগার উজ্জ্বল হইল। নরপতি পুত্রের রমণীয় রূপ দেখিয়া উহাকে রাম নামে বিখ্যাত করিলেন । তদনন্তর মধ্যম মহিষী কৈকেয়ীর ভরত নামে এক পুত্ৰ হইল। পরিশেষে কনিষ্ঠ সুমিত্র লক্ষণ ও শক্রয় নামে দুই যমজ পুত্র প্রসব করিলেন। রাম ভূমিষ্ঠ হুইবামাত্র দশাননের কিরীট হইতে রাক্ষসন্ত্রর অজ্ঞবিন্দুস্বরূপ একটি উজ্জ্বলতর রত্ন স্থলিত হইল। সুতানন সন্দর্শন করির রাজার আর আনন্দের পরিসীম। রছিল ন! । স্থানে স্থানে নৰ্ত্তকীগণ মৃত্য করিতে লাগিল, স্থানে স্থানে বাছকর সকল বাষ্ঠোদ্যম অগ্রস্তু করিল। তদীয় পুত্রজন্মে অমরাণ সন্তুষ্ট হইয়া স্বৰ্গ ছইতে পুষ্পরটি করিলেন এবং প্রজাগণ গুহে গৃহে নানাবিধ মছোৎসর করিতে লাগিল । রাজপুত্রের কুতসংস্কার হইয়। শীণশোধিত মণির দ্যায় সমধিক শোভমান হইলেন । র্তা স্থার দিন দিন শশিকলার মু্যায় পরিবর্দ্ধিত হইতে লাগিলেন । কুমারের স্বভাবতই অতিশয় বিনীতস্বভাব ছিলেন । আবার পণ্ডিতমণ্ডলীর উপদেশ লাভ করিয়া ততোধিক বিনীত হইয়া উঠিলেম । উছার পরম্পর বিরোধ করতেন ন} । চারি জনেরই সমান সোঁজার ছিল। তথাপি লক্ষণ রামের এবং শক্রয় ভরতের সৰিশেষ প্রণয়ভাজন হইলেন। যেমন বয়বস্থির বা চন্দ্রসমুদ্রের প্রণয় কদাচ স্থলিত হুইবার মছে ; তজপ রামলক্ষণ ও ভরতশক্রয়ের পরম্পর সম্ভাবও অস্থলিত ছইল। গ্রীষ্মকালাবসানে সজল জলধরাবলী লোকলোচনের যাদৃশ প্রীতিজনক হয়, তাহারাও প্রজাপুঞ্জের সেইরূপ আনন্দজনক হইলেন । রাজা দশরথ এইরূপে রুদ্ধাবস্থায় অলৌকিক পুঞ্জচতুষ্টয়ের পিতা ছইয়। পরমসুখে কালষাপন করিতে লাগিলেম ।