পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৮৭

ጎ8 রঘুবংশ । করিতে ন পারিয়া তৎক্ষণাৎ মুচ্ছিত হুইয়া ভূতলে পড়িল । তাছার পতনভার কেবল কাননভূমি মহে, দুর্দান্ত দশমিমের রাজ্যলক্ষীও কম্পমান হইলেন। পরে রাত্রিঞ্চরী ক্ষতনির্গত দুৰ্গন্ধ ৰুধিরধারায় পরিলিগুকলেবর হইয় প্রাণত্যাগ করিল। রামান্ত্রপাতে তাছার হৃদয়ে এক বিস্তীর্ণ বিবর হইয়াছিল, বোধ করি সেই বিবরই বুঝি সংহারকর্তার রক্ষসদেছে প্রবেশ করিবার প্রথম দ্বার ছইল । মহর্ষি বিশ্বামিত্র রামের অদ্ভুত কাৰ্য সন্দর্শনে নিতান্ত প্রীত হইয় তাছাকে এক রাক্ষসৰ্ম্ম অস্ত্র প্রদান করিলেন । পরে তাহারা ঋষির সমভিব্যাহারে পবিত্র বামমাত্রমে উপস্থিত হইলেন। রাম বামনের আশ্রমপদে স্বকীয় পূৰ্ব্বচরিত অপরিস্ফুট রূপে স্মরণ করিয়া ক্ষণ কাল উন্মনঃপ্রায় হইলেন । পরিশেষে ঋষি আপন আশ্রমে উত্তীর্ণ হইয়। মহাযজ্ঞে দীক্ষিত ছইলেম । রাম লক্ষণ দীক্ষিত বিশ্বামিত্রের অজ্ঞানুসারে তদীয় যজ্ঞ রক্ষা করিতে লাগিলেন । একদা ঋত্বিগগণ যজ্ঞবেদীতে বন্ধুজীবকুসুমকার স্থল রক্তবিন্দু সকল অবলোকন করিয়! নিতান্ত শঙ্কাকুল স্থইলেন। সন্ত্রমে তাছাদিগের হস্ত হইতে যজ্ঞ পাত্র স্থলিত হষ্টতে লাগিল । রাম তদণ্ডে শরোদ্ধণার্থ তুণীরে হস্তাপণ করিয়৷ উৰ্দ্ধমুখে দেখিলেন, গগনমার্গে নিশাচরসেন পরিভ্রমণ করিতেছে। উডুডীন গৃধগণের পক্ষপবনে BBBBBB BBBBB BBB B BBBB BBBS BB BBB রাক্ষসকে বাণ লক্ষ্য না করিয়। কেবল সেই রাক্ষসী সেনার অধিনায়ক সুরাহু ও তাড়কাপুত্র মারীচকে লক্ষ্য করিলেন ; না করিবেন কেন, মহেরগবিনাশী গৰুড় কি ক্ষুদ্রতর ডুণ্ডুভের সহিত বৈরিতা করিয়া থাকে সৰ্ব্বশাস্ত্রবিশারদ রামচন্দ্র ধনুকে বায়ব্যাস্ত্র সন্ধান করিয়৷ পৰ্ব্বক্তাকার মাৰীচকে পরিণত পত্রের ন্যায় ভূতলে পাতিত করিলেন এবং ক্ষুরপ্রাস্ত্র দ্বার সুবাহুর প্রকাণ্ড কলেবর খণ্ড খণ্ড করিয়া ফেলিলেন ; রাম লক্ষণ এই রূপে যজ্ঞবিঘ্ন নিরীকরণ করলেন । ঋত্বিগ্নগণ উছাদিগের অসামান্ত রণবিক্রমের যথেষ্ট অভিনন্দন করিয়া কুল