পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ সর্গ । b's অস্ত্রের প্রভাবে আমি পৃথিবীতে আর কাছাকেও প্রবল শত্রু বলিয়। মনে করি না। কেবল ভূমি এবং কীৰ্ত্তবীৰ্য এই দুই জন মাত্র আমার শত্রু আছে। তোমরা দুই জনেই আমার নিকট তুল্যাপরাধী । ক স্তবীৰ্য আমার আশ্রম হইতে হোমধেনুর বৎসপহরণ করিয়াছিল । তুমি আমার ত্ৰিভুবনবিখ্যাত কীৰ্ত্তিলোপ করিতে উষ্ঠত হুইয়tছ । অতএব তোমাদিগকে বিনাশ না করিলে আমার জগদ্বিখ্যাত ক্ষত্রিয়হত্যকীর্তির কলঙ্ক রহিবে । যে হেতু অগ্নি যে তৃণরাশি দগ্ধ করে সে বড় কঠিন কাৰ্য্য নহে, কিন্তু যেমন তৃণে সেইরূপ মছর্ণিবে ও প্রজ্বলিত হয় ইহাই অতিশয় আশ্চৰ্য্য। আর তুমি যে জীর্ণ শঙ্করশাসন ভগ্ন করিয়াছ, ইহাও বড় অস্তুত কৰ্ম্ম নহে। ভগবান নারায়ণ সেই শরাসনের সারাকর্ষণ করিয়াছিলেন, তজ্জন্তাই তাঁহাতে কৃতকাৰ্য হুইয়ছে। নদীবেগে মূল উৎখাত হইলে বায়ু অনায়াসেই তটিনীতটস্থ তৰুগণকে ভগ্ন করিতে পারে। তুমি বালক ; আমি তোমার সহিত যুদ্ধ করিতে চাহি ন । তুমি আমার এই শরাসনে গুণরোপণ করিয়া শরসংবলিত অাকর্ষণ কর । যদি কৃতকাৰ্য্য ছইতে পার তোমার নিকট পরাজয় স্বীকার করিব । অথবা আমার এই চুতীক্ষ্ণ পরশুধীর অবলোকন করিয়া যদি ভয় পাইয়া থাক, কুতঞ্জলিপুটে অভয়ভিক্ষা কর, দিতে প্রস্তুত আছি । ভীষণাকুতি ভার্গব এই বলিয়া নিরস্ত হইলেন । রাম কিছুই প্রত্যুত্তর না করিয়া ছাপ্তবদনে তদীয় শরীসন গ্রহণ করিলেন । কিন্তু সেই ধনুগ্রহণই ভার্গবগৰ্ব্বের সমর্থ উত্তর প্রদান করা হইল । রাম স্বভাবতই অতিশয় প্রিয়দর্শন, আবার জন্মান্তরীণ দিব্য ধনু ছন্তে করিয়া ততোধিক রমণীয় ছইলেন। যেমন নিসর্গসুন্দর জলধর ইন্দ্রচাপে লাঞ্ছিত হইলে অধিকতর শোভমান হয়, বিচিত্ৰধনুধারী শু মকলেবর রামচন্দ্রকেও সেইরূপ দেখাইতে লাগিল । অনান্তর মহাবল পরাক্রান্ত রাঘব অবমীতলে কোটি সংস্থাপনপূর্বক অবলীলাক্রমে ভার্গবশরাসনে গুণরোপণ করিলেন । তদর্শনে পরশুরাম মিতান্ত বিষণ্ণ ও একান্ত কিবর্ণ হইলেন। রামের তেজঃ বাড়িতে * >