পাতা:রঘুবংশ (চন্দ্রকান্ত তর্কভূষণ).pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-br রঘুবংশ । গোচর হইল। যত রক্ষস রণ করিতে আসিয়ছিল কেছই প্রাণ লইয়া পলায়ন করিতে পারিল না। রাবণের নিকট এই দুর্ঘটনার সংবাদ দিতে কেবল শূৰ্পণখা অবশিষ্ট রছিল। এই রূপে সংগ্রাম সমাপন হইলে শূৰ্পণখা লঙ্কায় যাইয়া দশাননসন্নিধানে সমস্ত রত্তান্ত পরিচয় দিল । রাবণ, ভগিনীর নিগ্রহ ও আত্মীয়বর্গের নিধনবাৰ্ত্ত শ্রবণে আপনাকে এরূপ অপমানিত বোধ করিলেন যেন রাম উহার দশ মস্তকে পদার্পণ করিয়াছেন। পরে হরক্ত দশানন মৃগৰূপী মারীচরাক্ষস দ্বারা রাম লক্ষণকে বঞ্চন করিয়া সীতাহরণ করিল। পক্ষীন্দ্র জটায়ুঃ রাবণের সহিত যুদ্ধ করিয়া ক্ষণকালমাত্র সীতাছরণের বিস্তুসম্পাদন করিয়াছিলেন । পরে রাম লক্ষণ সীতার অন্বেষণার্থ ইতস্ততঃ ভ্রমণ করিতে করিডে দেখিলেন পক্ষীন্দ্র জটায়ু ছিন্নপক্ষ মৃতপ্রার ভূতলে পতিত আছেন । খগরাজ জটায়ুঃ “ রাবণ সীতাহরণ করিয়াছে" এই কথা বলিতে বলিতে প্রাণত্যাগ করিলেন। তদর্শনে রাম লক্ষণের মনে পিতৃশোক পুনর্বার নবীভূত হইল। তাছার পিতৃসখী জটায়ুর পিতৃবৎ অগ্নিসংস্কারাদি কার্ষ্য সমাধা করিলেন । তানস্তর রামচন্দ্র সীতাশোকে নিতান্ত কাতর হইয়৷ আহারনিদ্রাপরিত্যাগপূর্বক অহৰ্নিশি বনে বনে রোদন করিয়া ভ্রমণ করিতে লাগিলেন। একদ। কবন্ধনমিক এক শাপভ্রষ্ট রাক্ষসকে বিনাশ করিলেন । শাপোযুক্ত কবন্ধ রামকে কপীন্দ্র সুগ্ৰীবের সহিত মিত্ৰত করিতে উপদেশ দিয়া স্বস্থানে প্রস্থান করিলেন। কপিরাজ বালি সুগ্ৰীবের পত্নীহরণ করিয়াছিল, রাবণ রামের সীতা হরণ করিয়াছিল, উভয়েই সমদুঃখী ; সুতরাং তঁহিদের পরম্পর সাতিশয় সদ্ভাব হইয়া উঠিল। মহাবল পরাক্রান্ত রাম মিত্রের উপকারার্থে দুর্জয় বালিকে বধ করিয়া চিরকাঙিক্ষত তদীয় পদে কপীন্দ্র সুগ্ৰীবকে অভিষিক্ত করিলেন। অনন্তর মুগ্ৰীবের আজ্ঞানুসারে কপিগণ ইতস্ততঃ সীতার অস্বেষণ করিতে লাগিল। একদা পবননন্দন জটায়ুর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা সম্পাতির মুখে জনকনন্দিনীর সংবাদ পাইয়। লক্ষ প্রদানপূর্বক মহাসাগর