পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সর্গ । এখনি যাইবে দর্প পৰ্বত গহ্বরে।” প্রকাশ্যে সন্ত্রাসে প্রৌঢ় বলিল—“সম্মুখে! পশ্চাতেও আমি তব থাকিবার নয়। ওই শুন, ওই শুন লাঠি ঠন ঠনি, যুঝিতেছে যেন মস্ত মহিষ যুগল, দুর্জয় পবন কিম্বা ভাঙ্গিতেছে যেন বংশ বন। ওই বুঝি চৌবেজী তোমার ছাড়িলেন কলেবর ! শালের মত বিলােড়ি কানন শুন আসিতেছে ওই ! মেছার লড়াই নহে;—তবু বীর তুমি ; রক্ষিবে আপনা। কিন্তু এই সুখসেব্য উদর আমার,যুদ্ধ ? গৃহির উরে হায়, চাহে ফাটিবারে । এক নখাঘাতে হিরণ্যকশিপু বধ ঘটিবে আমার । এই বেলা চিন্তি আমি উপায় আমার, ভূতলে বীরতা নাহি বুদ্ধির সমান।” বলিয়া, অদূরে এক বৃক্ষের গােড়ায়, স্তুপাকারে শুষ্ক পত্র, কাটুরিয়াগণ। রাখিয়াছে যথা, সেই স্তুপের ভিতরে নীরবে প্রবেশি প্রৌঢ়, কম্পিত অধরে (পদ্মাসনে বসি এই দুর্গের ভিতরে।