পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঙ্গমতী। ES বলিল-“দোহাই বাবা! দোহাই তােমার দিও না উদ্দেশ মম।” এমন সময়ে ভিষণ মূরতি এক,রক্তাক্ত নয়ন, নাশাগ্রে হতেছে যেন অনল নির্গত, বিশাল ধমনীচয় ফাট ফাট যেন ললাটে, খুণাল ভুজে, যুগল চরণে, গরজিয়া আগন্তুক মিজ্ঞাসিলা ক্রোধে গদাধর রণ: তুমি ? এই কীর্তি তব ? মোহন্ত হইয়া তুমি এ ঘাের নারকী ? যাত্রী রমণীর প্রতি এই অত্যাচার তব ?” কাপিতে কঁপিতে ভীরু দুরাচার, স্থির নেত্রস্বয়,যেন সাক্ষাত শমন -- যষ্টি হতে নিষ্কোযিয়া শাণিত কৃপাণ। উঠাইল আগন্তুকে। বিদ্যুত গতিতে প্রহরিলা ভীম যষ্টি কৃপণমুষ্টিতে বীরবর, বানৎকারে উড়িয়া কৃপণ পড়িল অরণ্য মাঝে । করিয়া চীৎকার প্রাণভয়ে গদাধর পড়িল পশ্চাতে ; শিলাহু’তে শিলান্তরে পড়িতে পড়িতে, মুহূর্তে অদৃশ্য হলো পৰ্বত গহ্বরে।