পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮ রঙ্গমতী। ‘নরাধম ; কোথা সে রমণী দেখা ;নতু এই যষ্টি পড়িতেছে শিরে। উর্দ্ধে আস্ফালিয়া যষ্টি গর্জিলা যুবক! “বাবা গো! বাবা গাে !”—ভয়ে করিয়া চীংকার, এক কর পাতি শিরে, অন্য করে ভীরু “ওই সে রমণী !” সঙ্কেতিয়া উত্তরিল । মুহূর্ত—মুহূর্ত মধ্যে প্রবেশিলা যুবা শিলাকক্ষে । পঞ্চানন কটিবাস ধরি দুই করে, দিল দোড়, ভীম-কর-ভ্রষ্ট কীচকের মাংসপিণ্ড ছুটিল যেমতি। মুহূর্তে অদৃশ্য !-কিন্তু বহু দূর হতে শুনা গেল ডক, ডক, উদরের ধ্বনি। শিলাকক্ষে,—একি দৃশ্য চিত্ত-বিদারক । এক পার্শ্বে শিলাসনে একটা রমণী, শায়িতা-মূচ্ছিতা ! মুরি! ফুলরাশি যেন বনদেবী পুষ্পপাত্রে রহেছে পড়িয়া। ক্ষুদ্র এক মেঘখণ্ড, সহ সৌদামিনী, পড়িয়া ভূতলে, যেন পতনে মুচ্ছিতা । নিমীলিত নেত্ৰদ্বয়। মুখ সুন্দর মলিন ; স্তিমিত কান্তি; করুণা প্লাবিত। অচঞ্চল ভ্রুযুগল দীর্ঘ সুবঙ্কিম,