পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১ রঙ্গমতী। কৃতাঞ্জলিপুটে বসি সন্ন্যাসী সম্মুখে, শিবের সম্মুখে যেন বসিয়াছে ধ্যানে মন্মথ-মােহিনী পতি-বিরহে-বিধুরা বলিতে লাগিলা—“প্রভাে। স্বপ্নে অভাগিনী দেখিল দেবতা কেহ আসি মর্ত্যধামে দস্যুদের হস্ত হতে রক্ষিলা আমারে। তুমি সে দেবতা, প্রভো ?” হাসিল যুবক ; “সরলে ! অলীক স্বপ্ন। উদাসীন আমি ! কিন্তু তপস্যার বলে ভবিতব্য-দ্বার বিযুক্ত নয়নে মম। পারি দেখিবারে অনন্ত, তমসাবৃত আলয় তাহার, নহে বহু দূর-এই মানব নয়নে। জানিলাম আজি চন্দ্রশেখরে বসিয়া ঘোর অমঙ্গল, ভদ্রে! লাসাগ্রে তােমার ; লইলাম সঙ্গ আমি অস্কাতে পশ্চাতে। তােমারে ধরিল যবে দুরাচার দ্বষ, “বাঘ। বাঘ!” করি বিপ্র, বিশ্বাসঘাতক, করিল চীৎকার ; ভয়ে করিল চীৎকার সঙ্গিনী যাত্রিকাগণ। তর আর্তনাদ ডুবিল সে কোলাহলে-শুনিল না কেহ।