পাতা:রঙ্গমতী - নবীনচন্দ্র সেন.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সর্গ। রহিয়া, রহিয়া, করি গিরি উপত্যকা প্রতিধ্বনিময়। কভু বন বিলােড়িয়া শুনা যায় দুর-বনে মাতঙ্গ গর্জন,- ভূতলে জিমূত মন্দ্র ; কখন বা দূরে ব্যাঘ্রের জ্বম্ভণ—ঘাের ঘর্ঘর ভীষণ ! যেন মৃত্যু-কণ্ঠধ্বনি, রদন ঘর্ষণ ! সম্মুখে দেখিলা যুবা, পৰ্বত গহ্বরে সুন্দর সলিল খণ্ড, শুন্য অবয়ব, স্বভাব সরসী!—উচ্চ পৰ্বতে বেষ্টিত। পাষাণ-শরীরী বন, রেখেছে লুকায়ে তরল হৃদয় যেন, ছয় ঋতু চারু মুৰ্ত্তি বিরাজিত হেথা। নির্মিত তভূগি পার্শ্ব কঠিন শিলায় ; শোভে স্বচ্ছ বারি-তলে বালুকার স্তর, উজ্জ্বল পারদ স্তর দর্পণে যেমতি । চারু শিলাময় তীরে রয়েছে পড়িয়া কত রূপ শিলরাশি, কৌতুক আকার। কোথা শিলা শয্যা, কোথা চারু শিলাসন, কোথা বা অনুচ্চ শিলা-মঞ্চ মনোহর। ফলে পুষ্পে সুসজ্জিত অটবী সুন্দর শােভে তীরে, যাজাইয়া স্থানে স্থানে, মরি, —নিৰ্মলা রূপিণী ।