এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
১৩২ রঙ্গমতী। নবীন যৌবন-স্পর্শে মৃদু-তরঙ্গিত শিল্পকর-পরাভব—দেহ-মহিমায় সমুজ্জ্বল লতা কক্ষ। স্থির দূর নেত্রে চাহি নিৰ্মলার পানে,-সরসী হৃদয়ে খেলিছে অনল বিভা, মধ্যাহ্ন কিরণে, বংশী রবে চিত্ত হারা, চিত্ররূপী বালা। যুবকের মুগ্ধ কণ্ঠে অজ্ঞাতে ধ্বনিল— “কুসুমিকা!”—চমকিলা বামা; চারু হাসি হাসিয়া ঈষদ,~-লজ্জা রঞ্জিল বদন, করিয়া সুবর্ণ বর্ণে অলক্ত সঞ্চার, কহিলা,-“দেখেছ ওই মধ্য সরােবরে ফুটিয়াছে, মরি কিবা কুসুম সুন্দর।” একটী,—দেখিলা ধুবা,একটী কুসুম, মধ্য জলে,—মধ্যাকাশে একটী নক্ষত্র মরি শেভিতেছে যেন ! লম্ফ দিয়া যুবা পড়িলা সলিলে, বেগে চলিলা সাতারি তুলিবারে সেই ফুল। মুগ্ধ কুসুমিকা দেখিলা সুন্দরতর, পুষ্প অন্যতর চলিল ভাসিয়া সেই সরসী সলিলে। তুলি ফুল, ব্যঙ্গ করি, বীরেন্দ্র তখন বুঝিতে বালিকা মন, করিলা চীৎকার--